Near Mufti Mufti Khalil Ahmad Qasemi. মহাপরিচালক, জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্রগ্রাম। As-Salamu Alaikum. Welcome to Our SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী এবং কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির) সফটওয়্যার_SQSF-Smart Library and Counseling Software. Reg No: S-13909 www.sqsf.org ফোনঃ 01764 444 731
মুফতী খলীল আহমদ কাসেমী দা.বা. সমীপে

তারিখঃ ০/০/২০২৩ ইং
বরাবর,

মুফতি মুফতী খলীল আহমদ কাসেমী দা.বা. সমীপে,
মহাপরিচালক,
জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্রগ্রাম।

বিষয়ঃ কওমী মাদরাসা ও মসজিদ ভিত্তিক মকতবের সকল বিষয়ের ক্লাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক পরামর্শমূলক প্রস্তাব। খুব সহজে কোন প্রকার চাপ ছাড়াই সকল বিষয়ের শিক্ষক ডিজিটাল ক্লাস নিতে পারবে পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্টসহ আদর্শবান শিক্ষকের করণীয়

ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা প্রসঙ্গে।
 

ভূমিকাঃ

  • সকল পেশায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক বছরের কাজ ছয় মাসে সম্পন্ন করা হচ্ছে। ৬ মাসের কাজ এক মাসে। এক মাসের কাজ এক দিনে। এক দিনের কাজ এক ঘন্টায়।
  • হাজার হাজার মাইল দূরত্ব মাত্র কয়েক ঘন্টায় পাড়ি দিচ্ছে মানুষ।
  • এই প্রযুক্তির যুগে কখনই কোন মানুষ অথবা প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির ব্যবহার করা ছাড়া উন্নয়ন করতে পারবে না, উন্নতি করা সম্ভব না।
  • কিন্তু শিক্ষকতার পেশা কেমনই যেন হাজার হাজার বছর আগের মতনই পুরাতন রয়ে গেছে।

    বাস্তবতাঃ

ক) যে দেশে ফজরের পর মকতবের পড়া দিয়েই শুরু হতো প্রতিটি মুসলমান সন্তানদের সারাদিনের পড়াশোনা। তা যে আজকের সমাজে সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ মুসলমান তাদের সন্তানকে কওমী মাদরাসা ও মকতব ভিত্তিক পড়াশোনাকে নিজ সন্তানদের জন্য উপযোগী মনে করছেন না। তারা তাদের সন্তানদের জন্য আধুনিক ও স্মাট প্রতিষ্ঠানকে উপযোগী মনে করছে। যা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সন্তানদেরকে মুসলিম বানিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। অথচ সামান্য কিছু পরিবর্তন-সংযোজনের মাধ্যমে কওমী মাদরাসা ভিত্তিক মকতব গুলো ও আধুনিক হয়ে উঠতে পারে এবং আমরা আমাদের মাদরাসার পাশের সকল স্তরের অভিভাবকের সন্তানদেরকে মকতব মূখী করতে পারি।

 

খ) আনন্দদায়ক ক্লাস পদ্ধতি না থাকার কারণে হাজারো অভিভাবকের স্বপ্ন যে, তার সন্তানকে কুরআনের হাফেজ ও আলেম বানাবে তা ধুলিতসাৎ হয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী অতিরিক্ত শাষন ও চাপের কারণে কুরআনের ইলম থেকে বঞ্চিত হয়ে স্কুল মূখী হয়ে যাচ্ছে বা পড়াশোনা একদম ছেড়ে দিচ্ছে।


গ) বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলছি যে, শতভাগ চেষ্টা করার পরও একজন শিক্ষককে বোঝানো যাচ্ছে না যে, তার পেশায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বা প্রযুক্তির উপর ভর করে নিজের শিক্ষকতার পেশা-পাঠদানকে অত্যাধুনিক আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।
 

ঘ) বোঝানো সম্ভব হলেও তা শতভাগ চেষ্টার পরও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। পজিটিভভাবে না বোঝার দরুণ স্বরজমিনে ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারী শিক্ষক এবং আলেম-ওলামাগণ ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার কঠিন সমালোচনা ও বিরুধীতা করছে। অথচ তারা সকলেই স্মার্টফোনসহ জীবনের প্রায় ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত। যতসব অসুবিধা-অজুহাত মনে হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে এসে হাজির হয়েছে, ইত্যাদি।
 

বিঃদ্রঃ শিক্ষায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারঃ এখানে দুটি বিষয় আছে
১) শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন, সংযোজন-বিয়োজন ইত্যাদি।
২) পাঠদান পদ্ধতিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি তথা ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার করে পাঠদান ইত্যাদি। আমাদের আলোচ্য বিষয় ২য়টি।

ঙ) প্রযুক্তির ব্যবহার করার কারণে শিক্ষার্থীরা যা দীর্ঘ এক সপ্তাহব্যাপী চেষ্টা করে শিখতে বা বুঝতে পারতো না তা এখন মাত্র এক ঘন্টার একটি ক্লাসে বুঝতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ। এটা প্রযুক্তির অবদান।

চ) মূলত শিক্ষার্থীরা ক্লাসে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও নিত্য নতুন বিষয় পেলে তাদের অন্তরকে শান্ত করা সম্ভব হবে এবং তাদের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের পথ সুগম হবে, ইনশাআল্লাহ।

ছ) এর জন্য প্রতিটি শিক্ষককে ক্লাসে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। ৪০ মিনিট পড়ানোর জন্য তাকে অনেক ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে।

ঝ) আমার জানামতে ১০০% শিক্ষকের মধ্যে ৯৯% শিক্ষক প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি।

ঞ) আমার মতে শিক্ষকগণ প্রযুক্তি নির্ভর না হয়ে উঠার কারণ হলোঃ

 

এই বিষয়েটিকে কঠিন মনে করা বা আসলে কিছুটা কঠিন বটে।

সমাধান
ক) আমরা যদি শিক্ষকদেরকে বুঝাতে পারি যে
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা একদম পানির মত সহজ। আমরা যেভাবে প্রতিদিন কষ্ট করা ছাড়াই ফেসবুক/ইউটিউব/ হোয়াটসঅ্যাপ /ইমো ইত্যাদি সহজে ব্যবহার করছি, ঠিক সেভাবেই প্রতিদিনের পাঠ শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা অত্যন্ত সহজে উপাস্থাপন করতে পারবো।

খ) প্রস্তাবিত ফরমেটে এমন হবে যে, ৪০ মিনিট শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের জ্ঞান বিতরণ শেষ হবে না, কারণ তখন আমাদের কাছে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিকতার উপর পর্যাপ্ত তথা হাজার হাজার গল্প-পাঠের জ্ঞানের বিশাল বস্তা-সম্ভার আছে। এমন একটা অবস্থা প্রতিটি বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে খুব সহজে এমন একটা অবস্থা তোইরি করা।

গ) আসলে ফেসবুক/ইমো সহজ ব্যাপার না।
একটা টিম অনেক কষ্ট করে আমাদের সামনে রেডি খাবারের মত ব্যবহার উপযোগী করে দিয়েছে। তাই আমরা অনায়েসে সহজে ব্যবহার করছি।

ঘ) তেমনি কঠিন বিষয়গুলো যদি কিছু শিক্ষক কঠিন কাজ করে রেডি করে দেয় তবে তা …. শিক্ষক প্রতিদিন …. পিরিয়ড তথা ….. টি ক্লাসে প্রযুক্তি ব্যবহার পাঠদান করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।

ঙ) এতে করে দারুল উলুম ঢাকা এবং সকল অভিভাবকদের স্বপ্ন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হবে। পাশাপাশি …. শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে, ইনশাআল্লাহ। শিক্ষার্থী জরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে, ইনশা আল্লাহ। মাদরাসার আশেপাশে সকলের মাঝে একটা পজিটিভ সাড়া পড়বে, ইনশা আল্লাহ।

চ) এ ব্যাপারে আপনার সাথে
পরীক্ষা মূলক, গবেষণা মূলক, পরামর্শ মূলক আমার একটা প্রেজেন্টেশন-প্রস্তাব আছে, আপনি সুযোগ করে দিলে আমি তা স্ব বিস্তারে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

ছ) আপনি কাজের পরিবেশ করে দিলে আমি আশাবাদী ৮০০ শিক্ষকদের সবাইকে আমরা উদ্ভুদ্ধ করতে পারবো যেন তারা ঈদের পর থেকে নিয়মিত কোন প্রকার চাপ ছাড়াই সকল ক্লাসে ডিজিটাল ক্লাস নিজ ইচ্ছায় নেন, ইনশাআল্লাহ। কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে হবে না। ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্ট এর প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাবে। শিক্ষকতার জন্য অন্যান্য জরুরী বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

জ) এতে করে মাত্র ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে …… শিক্ষার্থী ও …… অভিভাবকদের মধ্যে আমরা একটা উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলতে পারবো, ইনশাআল্লাহ। মাদরাসায় সকল স্তরের শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করতে পারবো, ইনশা আল্লাহ।

হুজুর আপনার পজিটিভ রেসপন্স আশা করছি। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিলে প্রতিটি বিষয়ের ১/২ জন শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করলে একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
ক্লাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক কমিটি হিসেবে একটা কমিটি করে দেওয়া যেতে পারে।
(সকলের কল্যাণের নিয়তে লিখলাম। যে কোন ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার বিষয় অনুরোধ করছি)

 

 

নিবেদক
মুফতি মোঃ আরিফুল ইসলাম।
★সহকারী ধর্মীয় শিক্ষক,
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। মিরপুর, ঢাকা।
★প্রশিক্ষক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি। ইসলামীক ফাউন্ডেশন।
★ প্রশিক্ষক, দ্বীনিয়াত বাংলাদেশ। পৃথিবীর প্রায় ৫০ দেশে বিস্তৃত।
★প্রধান প্রশিক্ষক,
SQSF শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
★প্রধান এডমিন, SQSF স্মার্ট সহায়িকা। সকল বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য সহায়িকা। শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করার অবিরাম চেষ্টা।
★প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,
তাসহীহুল কুরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশন।
www.sqsf.org
★প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,
আন-নাজাত হিফজুল কুরআন বালক বালিকা মাদরাসা ও এতিমখানা।

Follow us @Facebook
Visitor Info
100
as on 26 Mar, 2025 05:30 PM
©EduTech-SoftwarePlanet