প্রযুক্তির যুগে সন্তানের প্রতিপালন। Parenting in the age of technology. As-Salamu Alaikum. Welcome to Our SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী এবং কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির) সফটওয়্যার_SQSF-Smart Library and Counseling Software. Reg No: S-13909 www.sqsf.org ফোনঃ 01764 444 731
প্রযুক্তির যুগে সন্তানের প্রতিপালন

প্রযুক্তির যুগে সন্তানের প্রতিপালন। Parenting in the age of technology.

প্রযুক্তির যুগে সন্তানের প্রতিপালন। Parenting in the age of technology.

প্রযুক্তির ঢেউ অপ্রতিরোধ্য গতিতে আছড়ে পড়ছে সবার দোরগোড়ায়। একে কাটিয়ে সামনে এগোনো প্রায় অসম্ভব। তাইতো আজকাল ছোট ছোট বাচ্চার হাতে শোভা পায় স্মার্টফোন। বাসায় টিভি থাকা মামুলি ব্যাপার।

প্রযুক্তির অন্যান্য আইটেমের সঙ্গেও আমাদের সন্তানদের দারুণ সখ্য। প্রযুক্তি গলায় লাগানোর ফল কিন্তু ভালো আসেনি। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের সন্তানরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, আট থেকে ১৪ বছর বয়সের শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়ছে।

অতিরিক্ত গেম খেলা ও টিভি দেখার কারণে শিশুদের চোখের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর এক জরিপ অনুযায়ী, ঢাকায় স্কুলগামী শিশুদের ৭৭ শতাংশ পর্নোগ্রাফি দেখে! মাঠে খেলাধুলার পরিবর্তে শিশুরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকে স্মার্টফোনের ভিডিও গেমসে, যে গেমগুলোর বেশির ভাগজুড়েই থাকে হিংস্রতা, মারামারি, যুদ্ধ, দখল ইত্যাদি। এমন ভিডিও গেমস শিশুদের ওপর মানসিক প্রভাব ফেলে। তারা সহিংসতার দিকে ঝুঁকে পড়ে।পরিবার ও সমাজের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। তারা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। ইন্টারনেটের কল্যাণে অশ্লীলতার দুনিয়া থাকে হাতের মুঠোয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাই কেউ কেউ কচি বয়সেই অনৈতিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে অপরাধ। দেখা দিচ্ছে মূল্যবোধের সংকট।

প্রিয় অভিভাবক! আপনার শিশুর প্রতিপালন প্রশ্নে আপনার দায়িত্ব ও জবাবদিহি আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদাররা! তোমরা নিজেদের ও তোমাদের পরিজনদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)

প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, আর সবাই তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে। ইমাম একজন দায়িত্বশীল। তিনি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ দায়িত্বশীল তার পরিবারের। সে জিজ্ঞাসিত হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। নারী দায়িত্বশীল তঁর স্বামীর গৃহের (তার সম্পদ ও সন্তানের)। সে জিজ্ঞাসিত হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। ভৃত্যও একজন দায়িত্বশীল, সে জিজ্ঞাসিত হবে তার মুনিবের সম্পদ সম্পর্কে। এককথায় তোমরা সবাই দায়িত্বশীল, আর সবাই জিজ্ঞাসিত হবে সে দায়িত্ব সম্পর্কে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭১৩৮; তিরমিজি, হাদিস : ১৭০৫)

তাহলে ভাবুন! আল্লাহ ও শেষ নবীকে স্বীকারকারী আপনার নিষ্পাপ শিশু—যাকে ইসলামের বিধিবিধান জানানো উচিত, যাকে ইসলামের নীতি-আদর্শের ওপর আমল করার শিক্ষা দেওয়া উচিত, তাকে আপনি কী শেখাচ্ছেন? কিভাবে তাকে গড়ে তুলছেন?

তাকে কখনো কাছে ডেকে বুঝিয়েছেন যে চাকচিক্যময় এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। সুতরাং কিছুদিনের নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। ওই মাহবুবের অন্তরে আঘাত করা যাবে না, যিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের কথাই ভাবতেন।

প্রযুক্তিতে ভর করে সন্তান যেন পাপের পথে পা বাড়াতে না পারে, সে জন্য আপনি এই পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন—

এক. তার অনলাইন গতিবিধি নজরে রাখুন। বাসায় কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন খোলামেলা জায়গায় রাখুন। যেন আপনার অগোচরে অনলাইনে উত্তেজক বা বেআইনি বিষয়বস্তু খোঁজার সুযোগ না পায়।

দুই. সে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে কি না খেয়াল রাখুন। দরজা বন্ধ একটা রুম স্থায়িভাবে বরাদ্দ দেবেন না। বলে রাখুন, কোনো প্রয়োজনে বা বাসায় মেহমান এলে তাকে রুম ছেড়ে দিতে হবে।

তিন.  বাসার বাইরে সে কাদের সঙ্গে মেশে, তা খেয়াল করুন।

চার. তাকে পর্যাপ্ত সময় দিন। তাকে নিয়ে বেড়াতে যান। বন্ধুর মতো আচরণ করুন।

পাঁচ. পড়ালেখার তদারকি করুন। পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হলে অন্য অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের প্রতি মনোযোগ কমতে বাধ্য।

ছয়. আখলাক-চরিত্র গঠনে সহায়ক ও জ্ঞান-বিজ্ঞান সংবলিত বই পড়তে উৎসাহিত করুন।

তবে শুধু এসবই যথেষ্ট নয়, সন্তানকে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সবার আগে তার অন্তরে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ভালোবাসা জাগ্রত করুন। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশনা বোঝান। তাকে কোরআন শেখান। অজু করা ও নামাজ আদায় করা শেখান। কালিমা শেখান। আল্লাহর কাছে দোয়া করতে শেখান। নরম স্বরে কথা বলা শেখান। মা-বাবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা শেখান। কথায় ও কাজে সত্যবাদী হওয়া শেখান। অন্যথায় প্রযুক্তির দুনিয়ায় আপনার সন্তান পথ হারাতে পারে। এই পথবিচ্যুতি তার ইহকাল ও পরকালে অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। হুঁশিয়ার!

লেখক : ইসলামী সংগীতশিল্পী ও গবেষক। কালেরকন্ঠ

ইউটিউব শিশুদের কি শেখাচ্ছে?

গত এক দশকে বাংলাদেশে প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি করেছে। বিশেষ করে মোবাইল প্রযুক্তিতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে ২০২২ সালের সর্বশেষ মে মাসের তথ্যনুসারে বাংলাদেশের ৪৮ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। এর আগে করোনাপূর্ব সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৩৮ শতাংশ। করোনা আঘাত না হানলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ পেরিয়ে যেত বলে ধারণা করছেন এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র স্মার্টফোনের ব্যবহার। এই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, তাদের যেকোনো কাজ সম্পাদন করতে কোনো না কোনো অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্য নিতে হয়। আর অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সাধারণত গুগল প্লে স্টোর ইনস্টল করা থাকে। সেখান থেকে ইচ্ছে আর চাহিদা অনুযায়ী যে কেউ, যে কোনো অ্যাপস ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে পারবেন। 

এবার একটি প্রশ্নে আসি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ কোনটি? বাংলাদেশে কোন অ্যাপের ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি হয়? ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম নাকি অন্য কোনো অ্যাপ্লিকেশন? কথাটি'র উত্তর এক কথায় দেওয়া সম্ভব নয় কারণ বর্তমানে দেশে সবগুলো অ্যাপ'ই সমানতালে জনপ্রিয়। আমার আজকের লেখার বিষয়বস্তু দেশের জনপ্রিয় মোবাইল এপ্লিকেশন ইউটিউব নিয়ে। কারণ আমাদের শিশুদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ইউটিউব অ্যাপস'টি।

শিশু-কিশোরদের হৃদয় জায়গা করে করে নেওয়া এই ইউটিউব বাংলাদেশে গত একদশকে জনপ্রিয়তা পেলেও সান ব্রুনো, ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক এই মার্কিন অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম সেবার সাইট ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। যা বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রভাবশালী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।  

বর্তমানে অধিকাংশ মা-বাবা তাদের সন্তান কে ঘরবন্দী করে রাখার কৌশল হিসেবে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, নোটবুক, ট্যাব অথবা ল্যাপটপ। এসব ডিভাইস ব্যবহার তারা সহজে ঢুকে যাচ্ছে অনিরাপদ সাইবার দুনিয়া'য়। শিশুদের ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ব্যবহার তুলনামূলকভাবে ইউটিউবের চেয়ে একটু কঠিন। ইউটিউব ব্যবহারের সহজলভ্য হওয়ার কারণে হাতে স্মার্ট ফোন থাকলে যে কেউ সহজে এখান থেকে সবধরনের ভিডিও দেখতে পারেন। এভাবে দেশবিদেশের শিশু-কিশোরদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউটিউব। ব্যবহারের এই সহজলভ্যতা'ই তার জনপ্রিয়তার মূল কারণ। 

বাংলাদেশে  শিশু-কিশোরদের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন এমনটা খুব বেশিদিন আগেও লক্ষ করা যায়নি। তবে বর্তমানে শিশু-কিশোরদের মাঝে এমনকি অবুঝ শিশুদের স্মার্ট ফোন কিংবা ট্যাবে'র ব্যবহার মারাত্মক আকারে বেড়েছে। এর দায় কোনোভাবে এড়াতে পারেন না অভিভাবকেরা। অধিকাংশ মা-বাবাই তাদের শিশুদের সামাল দেয়ার জন্য স্মার্ট সাহায্য নেন। তারা সন্তানদেরকে সময় কম দেওয়া এবং শিশুদের কান্না থামাতে স্মার্ট ফোনের ইউটিউবের অ্যাপের বিভিন্ন কার্টুন কন্টেন্ট দেখিয়ে শান্ত রাখার এই কৌশলই এক সময়ে অভিভাবকদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।

ইদানীংকালে করোনা'র পর শিশু-কিশোরদের মাঝে স্মার্ট ফোনের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, করোনা অতিমারি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে শিশুদের ওপর। শুধু বাংলাদেশে নয়! শিশুদের জন্য কাজ করে যাওয়া সংস্থা  ইউনিসেফ'র তথ্যনুসারে, বিশ্বে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন শিশু। আর রোজ এক লাখ ৭৫ হাজার শিশু ইন্টারনেটে আসক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি আধা সেকেন্ডে একজন শিশু নতুন করে ইন্টারনেটে যুক্ত হচ্ছে। সর্বশেষ মহামারি করোনার কারণেই অনেক 
শিশু-ই তাদের শৈশব হারিয়েছে, হারিয়েছে স্বাভাবিক বিকাশের গতি, লেখাপড়ার সুযোগ। অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষার জন্য অভিভাবকেরা স্মার্ট ফোন হাতে তুলে দিয়েছেন আর এই সুযোগে কোমলমতি শিশুরা চলে যাচ্ছে এক অনিরাপদ গন্তব্যে যার নাম সাইবার দুনিয়া। ইউটিউবে তারা মজার মজার সব কার্টুনসহ নানান মজাদার ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের ফাঁকে নিজের অজান্তেই দেখতে বিভিন্ন নেতিবাচক ভিডিও। যা তাদের সাধারণ মন-মস্তিষ্কে চিন্তা চেতনায় ওপর এক অদৃশ্য প্রভাব ফেলছে। 

নিজেদের সাইটে শেয়ারিং এসব নানান নেতিবাচক ভিডিওগুলো যে শিশুবান্ধব নয় তা ইউটিউব কর্তৃপক্ষ নিজেই আচ করতে পেরেছে। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রথমে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের জন্য এবং পরবর্তীতে তা পুরো বিশ্বের শিশুদের উপযোগী আরেকটি অ্যাপ চালু করে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। 'ইউটিউব কিডস' নামের অ্যাপটিতে শিশুরা কোন ধরনের ভিডিও কতক্ষণ দেখবে, তাও নির্ধারণ করতে পারেন অভিভাবকরা। অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা অ্যাপটিতে রয়েছে ভিডিও আপলোডের বিধিনিষেধও। ফলে চাইলেই সাইটটিতে কোনো ভিডিও আপলোড করা যাবে না। তবে অ্যাপটিতে শিশুদের 'অনুপযুক্ত' কনটেন্ট রয়েছে- এ অভিযোগ এনেছে শিশুদের কল্যাণে কাজ করা মার্কিন সংগঠন 'ক্যাম্পেইন ফর এ কমার্শিয়াল-ফ্রি চাইল্ডহুড' এবং 'সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসি'। এ বিষয়ে দেশটির ফেডারেল ট্রেড কমিশনের কাছে অভিযোগও করেছে তারা। শিশুদের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া মার্কিন সংগঠন 'ক্যাম্পেইন ফর এ কমার্শিয়াল-ফ্রি চাইল্ডহুড' এবং 'সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসি'র অভিযোগের সূত্র ধরেই বলা যায় যে ভিডিও বিনিময়ের জনপ্রিয় সাইট ইউটিউবের দুটি সংস্করণেরই ভিডিও গুলো শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। 

ইউটিউবে'র ভিডিওগুলো যে শিশুদের জন্য কতটা নেতিবাচক তা স্পষ্ট বুঝা যায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের কয়েকটি ঘটনা পর্যালোচনা করলে। এবছরেরই মে মাসে দেশের সকল শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ করে যে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারে ইউটিউবে দেখে ‘বোমা’ তৈরির চেষ্টাকালে তিন শিশু আহত হয়েছে। তারা কৌতুহলবশত বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য দিয়ে বোমা তৈরির চেষ্টা করে। কিন্তু প্লাস্টিকের বোতলে দাহ্য পদার্থ ঢোকানো মাত্রই বিস্ফোরিত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তারা। বিষয়টি দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি  সৃষ্টি করেছিল। যদিও তারা বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছিল কিন্তু দেশে এই ধরনের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে গণমাধ্যমে যেগুলোর খবর আসে আমরা সেগুলোই জানতে পারি! আর বাকি সব থাকে অজানা। 

মাঝে মধ্যে এমন খবরও গণমাধ্যমে আসে যে ইউটিউবে ভারতীয় সনি টিভির সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোলের অপরাধ মূলক বিভিন্ন কনটেন্ট দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণেরা বিভিন্ন কিশোর অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয় বর্তমানে ইউটিউব দেখে শিশুদের মধ্যে নানাবিধ বিরূপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে, এমনকি অতি অল্প বয়সেই তারা অ্যাডাল্ট বিভিন্ন কনটেন্ট দ্বারা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। সচেতন অভিভাবকদের এখনই সময় ভাবার যে তাদের শিশু সন্তানদের জন্য ইউটিউব কতটা নিয়ামক। 

ইউটিউবের নেতিবাচক দিক নিয়ে যতই আলোচনা হোক না কেন ইউটিউবের অনেক ইতিবাচক দিকও রয়েছে। ইউটিউবের কল্যাণে বাংলাদেশসহ বিশ্বে অনেক মানুষের জীবন বদলে গেছে। ইউটিউবের ব্যবহারের সহজলভ্যতা সহ নানাদিক বিবেচনা করলে এটাই বুঝাযায় যে বর্তমান বিশ্বে ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো ভিডিও শেয়ারিং সাইট কেউ তৈরি করতে পারেনি। এবং যেগুলো ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে সেগুলো তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা ও সহজলভ্য  ব্যবহার আমাদের শিশুদের জন্য কখনো নিরাপদ নয়। তাদের শিশুদের জন্য তৈরি 'ইউটিউব কিডস'ও  আমাদের তেমন আশা জাগায়'নি। তবে আশা জাগানোর খবর হলো বাংলাদেশের কয়েজন প্রযুক্তিবিদ ও তরুণ শিক্ষার্থী মিলে তৈরি করেছেন শিশুদের জন্য নিরাপদ ভিডিও শেয়ারিং সাইট ‘বেবিটিউব’। তারা শিশু ও কিশোরদের নিরাপদে অনলাইনে ভিডিও দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। ইউটিউবের আদলে তৈরি ভিডিও শেয়ারিং দেশীয় এই সাইট'টি প্রথম দিকে তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও দিনদিন এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের দাবি এই অ্যাপস শিশুদের জন্য শতভাগ নিরাপদ। তার মূল কারণ  বেবিটিউবে শিশুতোষ ভিডিও কন্টেন্ট ছাড়া অন্য কোনো কন্টেন্ট আপলোড করা যায় না। বেবিটিউবে শিশু-কিশোরদের জন্য নিরাপদ, মজাদার এবং শিক্ষণীয় ভিডিও শেয়ার করার সুযোগ তৈরি করেছে। অ্যাপের পাশাপাশি সেবা পাওয়া যাবে বেবিটিউবের ওয়েবসাইটেও।  একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে খেলাধুলা, কার্টুন, পড়াশোনা, মুভি, নাটক, গেম, গান, গজল, ট্রাভেল, ব্লগ, টেকনোলজিসহ শিশু-কিশোরনির্ভর সব ধরনের কনটেন্ট।

তাদের পরিকল্পনা প্রতিটি শিশু-কিশোর প্রযুক্তির দুনিয়ায় সুস্থ থাকুক। সেই সুস্থতা নিশ্চিত হোক বেবিটিউবের মাধ্যমে। 

বর্তমান সময়ে অনেকেই আছেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরিজীবী। ব্যস্ততা ও বাস্তবতা'র জন্য অনেক দম্পতি-ই তাদের সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন  না। প্রযুক্তির এ যুগে সন্তানদেরকে ইউটিউব কিংবা ইন্টারনেটের অন্যান্য ব্যবহার থেকে দূরে রাখাও কঠিন। আবার দেশে এখনও শিশু-কিশোরদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ ইন্টারনেট জগৎ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। সুতরাং অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের কাছে আরও আন্তরিক, বন্ধুসুলভ, কৌশলী হওয়া প্রয়োজন। অবসরে সন্তানদের সময় দেওয়া, বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া, সুযোগ থাকলে মাঠে  খেলার সুযোগ করে দেওয়া, বন্ধুদের সাথে মিশার সুযোগ দেওয়া, পারিবারিক সদস্যদের নিয়ে আড্ডার সুযোগ, ধর্মীর অনুশাসন মেনে চলার প্রতি উৎসাহ দেওয়া উচিত। এবং নির্ধারিত একটা সময় পর্যন্ত শিশুদের কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সংস্পর্শে আসতে দেবেন না। বাসায় স্মার্ট টিভি থাকলে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। স্মার্ট ফোন হাতে দিয়ে শিশুদের একা রেখে কোথাও যাবেন না। শিশুদের সামাল দেয়ার জন্য স্মার্ট ফোনের সাহায্য নেওয়া বন্ধ করুন। কমপক্ষে এসএসসি পরিক্ষার পূর্বে সন্তানের হাতে স্মার্টফোন দেওয়া উচিত নয়। নিজের সন্তানকে কোনো পিতামাতাই চোখে চোখে রাখা যেমন সম্ভব নয় তেমনি  প্রযুক্তির এ যুগে শিশু-কিশোরদের প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। তাই বলে প্রযুক্তিতে অবাধ বিচরণের সুযোগ প্রদান করাও ঠিক নয়।

লেখক: ডি এইচ মান্না 
ফ্রিল্যান্স গণমাধ্যমকর্মী

বিস্তারিত

এখন আর সন্তানেরা মা-বাবার কাছে চিঠি লিখতে বসে না। এমনকি মা-বাবারাও চিঠি লেখে না। চিঠি পড়তে যেয়ে চোখে জল জমে না। যত্ন করে চিঠিটা তুলে রাখা হয় না। ডাকপিয়নের অপেক্ষায় পথচেয়ে বসে থাকতে হয় না। পোস্ট অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে হয় না। প্রযুক্তির কল্যাণে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ ও দ্রুততর হয়েছে। শুধু দেশেই নয় দেশের বাইরে অবস্থানরত স্বজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করাও সহজ। ছোট কিন্তু কার্যকরী যন্ত্র মোবাইলের জন্য এদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। সেই সাথে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষের জীবনকে আরো গতিময় করেছে। এখন আর দূরে থাকলেও অভিভাবকদের গাঢ় চিন্তায় নিমজ্জিত থাকতে হয় না। সহজলভ্য মোবাইলের বদৌলতে চিন্তা-ভাবনা অনেক কমেছে। সহজেই অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। “ডিজিটাল বাংলাদেশ” -শ্লোগান দিয়ে বর্তমান সরকার পুরো জাতিকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছিল। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। আশা করা যায়, খুব দ্রুতই এদেশের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের হাতে স্বল্পমূল্যের ল্যাপটপ শোভা পাবে। সবাই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছে। সবাই পরিবর্তন চায়। উন্নয়নের অংশীদার হতে চায়। আর তাই প্রযুক্তি নির্ভর দেশ গড়তে, সকল পেশাজীবি মানুষকে এগিয়ে নিতে, প্রযুক্তি নির্ভর প্রজন্ম তৈরী করতে উন্নত বিশ্বের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এদেশের সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। প্রতিটি অভিভাবকই চায় তার সন্তান প্রযুক্তির স্পর্শে বেড়ে উঠুক, এগিয়ে যাক, এগিয়ে নিক পিছিয়ে থাকা দেশটাকে। শুধু অভিভাবকগণ নয় সচেতন প্রতিটি মানুষের একই স্বপ্ন, একই প্রত্যাশা। প্রযুক্তির সংস্পর্শে শিক্ষার্থীরাসহ দেশের প্রতিটি মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়বে-এতে কোন সন্দেহ নেই। পরিবর্তন আসবে-এটা (হয়ত) নিশ্চিত। পাশাপাশি কতটা পরিবর্তন আসবে, পরিবর্তনটা কেমন হতে পারে, সুফল-কুফল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। সর্বোপরি- প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নইলে ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর স্বপ্নটা অধরাই থেকে যাবে। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে এদেশে মানবজীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে, অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে, পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। সেই সাথে সফলতার পাশাপাশি প্রযুক্তির অপব্যবহার পুরো জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আহত করছে, প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দটি ছিল- “ইভটিজিং”। মিডিয়া, পত্রিকায় বিস্তর লেখালেখি হয়েছে এবং হচ্ছে, মানববন্ধন হয়েছে, বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে, সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। “ইভটিজিং” এর জন্য কয়েকটি প্রাণ অকালে ঝরে পড়েছে, অনেক ঘটনা আড়ালেই রয়ে গেছে। ইদানিং পত্রিকার পাতা খুললেই নজরে পড়ে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও চিত্রের খবর। আত্মহত্যা। এসিড সন্ত্রাস, ইভটিজিং আর এখন মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ। এটাকে কি বলে আখ্যায়িত করা যায়- প্রযুক্তি সন্ত্রাস না মোবাইল সন্ত্রাস? প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা আক্রান্ত হচ্ছে। অপমান, অপবাদ, লজ্জা থেকে পরিত্রাণ পেতে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। শুধু এখানেই নয় দেশের প্রতিটি জেলায় গড়ে ওঠা সাইবার ক্যাফেগুলো আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা স্কুল ফাঁকি দিয়ে সাইবার ক্যাফেতে গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কলেজ পড়ুয়ারা অশ্লীল সাইটগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করে। অসামাজিক কর্মকান্ড যে ঘটে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেমন পুরো বিশ্বকে সামনে আনা যায়, জ্ঞান অর্জন করা যায়, তেমনি ব্যবহারকারীদের বিপথগামী করে।

শিক্ষক ছাত্রকে উদ্দেশ্য করে-
শিক্ষকঃ পথের মাঝে দুটো কলস পড়ে আছে। একটা টাকাকড়িতে ভর্তি, অন্যটা জ্ঞানে ভর্তি। তুমি কোনটা নেবে?
ছাত্রঃ টাকাকড়ি ভর্তিটা নেব
শিক্ষকঃ আমি কিন্তু জ্ঞানে ভর্তি কলসটাই নিতাম
ছাত্রঃ যার যেটার অভাব

জানা এই কৌতুকটা নিছক হাসির জন্য নয়, শিক্ষনীয়। স্বল্পমূল্যে অথবা বিনামূল্যে প্রযুক্তিপণ্য শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিলেই যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূর্ণ হবে, দেশের উন্নতি হবে, ব্যাপক পরিবর্তন আসবে এমনটি আগাম ভেবে রাখা ভুল।

প্রথমেই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কিভাবে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পরিবর্তন আনা সম্ভব সে বিষয়গুলো প্রকাশসহ সচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ, অপ্রয়োজনীয় সাইটগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

অপব্যবহার রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তি তরুণ প্রজন্মকে যেভাবে আকৃষ্ট করেছে- অভিভাবক মহলে এ চিত্রটা কিন্তু ভিন্ন। উন্নত দেশের বয়স্ক ব্যক্তিরা শেষ বয়সে এসেও প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে সময় ব্যয় করছে, সেখানে আমাদের দেশে উল্টোচিত্র।

সন্তানরা মা-বাবার কাছে থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করে। জমানো প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে চায়। প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি।

প্রযুক্তি সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি অভিভাবকের উচিত প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞানার্জন করা। সন্তানকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনে দিলাম, এগিয়ে যাবার সিঁড়ি তৈরী করে দিলাম-এমন ভেবে দায়িত্ব শেষ বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। দায়িত্ব শেষ নয়, শুরু। সঠিক পথ দেখিয়ে দিতে হবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে জ্ঞানার্জনের পথ বাতলে দিতে হবে, আগ্রহ জন্মাতে হবে। নইলে- প্রযুক্তি আশির্বাদ নয় অভিশাপ হয়ে দেখা দেবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি সচেতন অভিভাবকদেরও প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসতে হবে। সন্তান কি করছে, কোন সাইট ভিজিট করছে, কম্পিউটারকে বিনোদনের মাধ্যম না জ্ঞানার্জনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করছে, কত সময় ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করছে ইত্যাদি বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। দিনের পর দিন নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরী হচ্ছে। মেধা খরচ করে তৈরী করা সাইটগুলোতে শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, বিনোদন, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় স্থান পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রযুক্তি পণ্য স্বল্পমূল্যে বিতরণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষনীয় ওয়েবসাইটও তৈরী করতে হবে। অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরীর পাশাপাশি কম্পিউটার ল্যাবে রক্ষিত কম্পিউটারের তথ্য ভান্ডার বিখ্যাত বইয়ের ই-বুক দিয়ে ই-বুক লাইব্রেরী গড়ে তুলতে হবে। সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণকৃত বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যের ল্যাপটপগুলোতে প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলোই দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে ইচ্ছেমত বা অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইনস্টল করতে বা রিমুভ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিন্তু পড়াশোনার সাথে সম্পৃক্ত প্রয়োজনীয় সাইটগুলোর ঠিকানা ব্যতীত অন্য কোন সাইটে প্রবেশ করতে যেন না পারে সে বিষয়টিও ভাবতে হবে। প্রকৃত অর্থে এমন নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা উচিত যাতে করে শিক্ষার্থীরা পথভ্রষ্ট, অমনোযোগী না হয়, এতে করে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেকাংশেই প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটমান প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে ‍‍‍‍‍‍“ প্রযুক্তি: আশির্বাদ না অভিশাপ ” এ বিতর্কে না যেয়ে প্রযুক্তি দেশ ও জাতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে ধরা দিবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এর ছোঁয়ায় আলোকিত হবে-এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

 

Follow us @Facebook
Visitor Info
100
as on 14 Dec, 2024 03:56 AM
©EduTech-SoftwarePlanet