জনাব আখলাক আহাম্মদ সমীপে সমীপে, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)। মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। As-Salamu Alaikum. Welcome to Our SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী এবং কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির) সফটওয়্যার_SQSF-Smart Library and Counseling Software. Reg No: S-13909 www.sqsf.org ফোনঃ 01764 444 731
জনাব আখলাক আহাম্মদ সমীপে

তারিখঃ ২৮/০৪/২০২৪ইং

বরাবর,
জনাব আখলাক আহাম্মদ সমীপে,
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)।
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।

বিষয়ঃ পৃথিবীর কোন দেশ ও মানব সমাজ সুশিক্ষা ছাড়া কখনোই উন্নতি লাভ করতে পারে না, এই বিশ্বাসকে ধারণ করে শিক্ষার কার্যক্রমকে সহজ ও স্মার্ট করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী,

               অভিভাবকদেরসহ সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করার স্মার্ট সমাধান প্রসঙ্গে।

          ক) শিক্ষকদেরকে স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করার স্মার্ট প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আদর্শ শিক্ষার্থী প্রস্তুত করা ও একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী করে তোলার

                স্মার্ট সমাধানের প্রস্তাব প্রসঙ্গে। 

          খ) প্রতিটি বিষয়ের দক্ষ শিক্ষক কর্তৃক তৈরীকৃত সুন্দর ক্লাস ফরমেট ও পাঠদান সকল অন্যান্য বিষয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে খুব দ্রুত ও সহজে উপাস্থাপন করা প্রসঙ্গে।

           গ) ক্লাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক পরামর্শমূলক প্রস্তাব। খুব সহজে কোন প্রকার চাপ ছাড়াই সকল বিষয়ের শিক্ষক ডিজিটাল ক্লাস নিতে পারবে পাশাপাশি ডিজিটাল 

               কন্টেন্টসহ আদর্শবান শিক্ষকের করণীয় ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা প্রসঙ্গে।

            ঘ) সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে খুব সহজে স্মার্টভাবে শৃঙ্খলায় অভ্যস্ত করা ও সকল অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরিয়ে আনার স্মার্ট সমাধান প্রসঙ্গে।

 

ভূমিকাঃ

দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন এবং পাশাপাশি আধুনিক মিরপুরের রুপকার ডিজিটাল ও আধুনিক মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রাণপ্রিয় অভিভাবক আলহাজ কামাল আহমেদ মজুমদার স্যারসহ আপনি যে স্বপ্ন দেখছেন যে, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সকল বিষয়ের পাঠদান পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করুক।
 

  • উক্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নুন্যতম সহায়তা করার লক্ষে সামান্যতম চেষ্টার প্রয়াস মাত্র।
  • সকল পেশায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক বছরের কাজ ছয় মাসে সম্পন্ন করা হচ্ছে। ৬ মাসের কাজ এক মাসে। এক মাসের কাজ এক দিনে। এক দিনের কাজ এক ঘন্টায়।
  • হাজার হাজার মাইল দূরত্ব মাত্র কয়েক ঘন্টায় পাড়ি দিচ্ছে মানুষ।
  • এই প্রযুক্তির যুগে কখনই কোন মানুষ/প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া উন্নয়ন করতে পারবে না, উন্নতি করা সম্ভব না।
  • কিন্তু শিক্ষকতার পেশা কেমনই যেন হাজার হাজার বছর আগের মতনই পুরাতন রয়ে গেছে।

    বাস্তবতাঃ
    ক) শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি অনিহা ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলা চরম অবনতিতে....।
    আদব-কায়দা যেন সোনার হরিণ...।
    শিক্ষার্থীদের পরস্পর মারামারি ইত্যাদি...।
    শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের প্রতি চরম ক্ষোভ/বদনাম ইত্যাদি...।

    খ) বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলছি যে, শতভাগ চেষ্টা করার পরও একজন শিক্ষককে বোঝানো যাচ্ছে না যে, তার পেশায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বা প্রযুক্তির উপর ভর করে নিজের শিক্ষকতার পেশা-পাঠদানকে অত্যাধুনিক আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।

গ) শতভাগ চেষ্টা করার পর ও একজন শিক্ষককে বুঝানো যাচ্ছে না যে তার পেশায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তথা প্রযুক্তির উপর ভর করে নিজের শিক্ষকতার পেশা-পাঠদানকে অত্যাধুনিক আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।

ঘ) বোঝানো সম্ভব হলেও তা শতভাগ চেষ্টার পরও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। যা আপনারা আমার চেয়ে অনেক বেশি অবগত।

ঙ) প্রযুক্তির ব্যবহার করার কারণে শিক্ষার্থীরা যা দীর্ঘ এক সপ্তাহব্যাপী চেষ্টা করে শিখতে বা বুঝতে পারতো না তা এখন মাত্র এক ঘন্টার একটি ক্লাসে বুঝতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ। এটা প্রযুক্তির অবদান।

চ) মূলত শিক্ষার্থীরা ক্লাসে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও নিত্য নতুন বিষয় পেলে তাদের অন্তরকে শান্ত করা সম্ভব হবে এবং তাদের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের পথ সুগম হবে, ইনশাআল্লাহ।

ছ) এর জন্য প্রতিটি শিক্ষককে ক্লাসে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। ৪০ মিনিট পড়ানোর জন্য তাকে অনেক ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে।

ঝ) আমার জানামতে ১০০% শিক্ষকের মধ্যে ৯৯% শিক্ষক প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি।

ঞ) আমার মতে শিক্ষকগণ প্রযুক্তি নির্ভর না হয়ে উঠার কারণ হলোঃ

 

এই বিষয়েটিকে কঠিন মনে করা বা আসলে কিছুটা কঠিন বটে।

সমাধান
ক) আমরা যদি শিক্ষকদেরকে বুঝাতে পারি যে
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা একদম পানির মত সহজ। আমরা যেভাবে প্রতিদিন কষ্ট করা ছাড়াই ফেসবুক/ইউটিউব/ হোয়াটসঅ্যাপ /ইমো ইত্যাদি সহজে ব্যবহার করছি, ঠিক সেভাবেই প্রতিদিনের পাঠ শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা অত্যন্ত সহজে উপাস্থাপন করতে পারবো।

খ) প্রস্তাবিত ফরমেটে এমন হবে যে, ৪০ মিনিট শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের জ্ঞান বিতরণ শেষ হবে না, কারণ তখন আমাদের কাছে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিকতার উপর পর্যাপ্ত তথা হাজার হাজার গল্প-পাঠের জ্ঞানের বিশাল বস্তা-সম্ভার আছে। এমন একটা অবস্থা প্রতিটি বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে খুব সহজে এমন একটা অবস্থা তোইরি করা।


গ) আসলে ফেসবুক/ইমো সহজ ব্যাপার না।
একটা টিম অনেক কষ্ট করে আমাদের সামনে রেডি খাবারের মত ব্যবহার উপযোগী করে দিয়েছে। তাই আমরা অনায়েসে সহজে ব্যবহার করছি।

ঘ) তেমনি কঠিন বিষয়গুলো যদি কিছু শিক্ষক কঠিন কাজ করে রেডি করে দেয় তবে তা ৮০০ শিক্ষক প্রতিদিন সাত পিরিয়ড তথা ৫৬০০ টি ক্লাসে প্রযুক্তি ব্যবহার পাঠদান করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।

ঙ) এতে করে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এবং ৮০ হাজার অভিভাবকদের স্বপ্ন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হবে। পাশাপাশি ৪০ হাজার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে, ইনশাআল্লাহ।

চ) এ ব্যাপারে আপনার সাথে
পরীক্ষা মূলক, গবেষণা মূলক, পরামর্শ মূলক আমার একটা প্রেজেন্টেশন-প্রস্তাব আছে, আপনি সুযোগ করে দিলে আমি তা স্ব বিস্তারে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

ছ) আপনি কাজের পরিবেশ করে দিলে আমি আশাবাদী ৮০০ শিক্ষকদের সবাইকে আমরা উদ্ভুদ্ধ করতে পারবো যেন তারা ঈদের পর থেকে নিয়মিত কোন প্রকার চাপ ছাড়াই সকল ক্লাসে ডিজিটাল ক্লাস নিজ ইচ্ছায় নেন, ইনশাআল্লাহ। কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে হবে না। ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্ট এর প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাবে। শিক্ষকতার জন্য অন্যান্য জরুরী বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

জ) এতে করে মাত্র ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ও ৮০ হাজার অভিভাবকদের মধ্যে আমরা একটা উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।

স্যার আপনার পজিটিভ রেসপন্স আশা করছি। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিলে প্রতিটি বিষয়ের ১/২ জন শিক্ষকদের নিয়ে একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
ক্লাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক কমিটি নাম হতে পারে।
(সকলের কল্যাণের নিয়তে লিখলাম। যে কোন ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার বিষয় অনুরোধ করছি)

 

এক নযরে ‘SQSF স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং সফটওয়্যার’ এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য

১. স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে আদর্শবান শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরী করতে সহায়তা করা।

২. আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরকে আদর্শবান শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরী করতে সহায়তা করা।

৩. কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরকে আদর্শবান শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরী করতে সহায়তা করা। 

৪. আদর্শবান ও সচেতন অভিভাবক-অভিভাবিকা তৈরীতে সহায়তা করা।

৫. সকল শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকে আদর্শবান ও সচেতন এবং স্মার্টভাবে পাঠদান করার ব্যাপারে সহায়তা করার স্মার্ট চেষ্টা করা।

৬. শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক কর্তৃক আদর্শ কন্টেন্ট তৈরী করার মাধ্যমে তাদেরকে এককালীন ও মাসিক ভাতা-সম্মানী, পুরস্কার ইত্যাদি প্রদান করে সহায়তা করা।

৭. জ্ঞানের চর্চায় অবদান রাখতে লেখক প্রকাশকদের বই বিক্রিতে সহায়তা করা এবং তাদেরকে উৎসাহ প্রদান ও প্রচার-প্রসার করা। পাশাপাশি যাদের বই ও কন্টেন্ট SQSF স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং সফটওয়্যার স্মার্ট লাইব্রেরীতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদেরকে এককালীন ও মাসিক ভাতা সম্মানী, পুরস্কার ইত্যাদি প্রদান করে সহায়তা করা।

নিবেদক


মুফতি মোঃ আরিফুল ইসলাম।
★সিনিয়র ধর্মীয় শিক্ষক,
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ব্রাঞ্চ-৩ দিবা। কাফরুল, ঢাকা।

★প্রশিক্ষক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি। ইসলামীক ফাউন্ডেশন।

★ প্রশিক্ষক, দ্বীনিয়াত বাংলাদেশ। পৃথিবীর প্রায় ৫০ দেশে বিস্তৃত।
★প্রধান প্রশিক্ষক ও এডমিন, 
SQSF স্মার্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

★প্রধান এডমিন,
স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং সফটওয়্যার

(সকল বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য সহায়িকা।

শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করার অবিরাম চেষ্টা)।
www.sqsf.org


 

Follow us @Facebook
Visitor Info
100
as on 14 Dec, 2024 03:34 AM
©EduTech-SoftwarePlanet