As-Salamu Alaikum. Welcome to Our SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী এবং কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির) সফটওয়্যার_SQSF-Smart Library and Counseling Software. Reg No: S-13909 www.sqsf.org ফোনঃ 01764 444 731
ক্রমিক নং | বয়ানের বিষয় | বয়ানের লিংক |
১ |
|
বয়ানের লিংক |
২ |
|
|
৩ |
|
বয়ানের লিংক |
৪ | ||
৫ | ||
৬ | ||
৭ | ||
৮ | ||
৯ | ||
১০ | ||
খানকায়ে পীর ড.মাওলানা মুশতাক আহমদ ডেমরা, ছোট পাইটি, ওয়াসা রোড, ঢাকা। মোবাইলঃ +8801715437445 =========== মুনাজাতঃ আল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা আশরাফিল আম্বিয়ায়ি ওয়াল মুরসালীন। ওয়ালা আলিহী ওয়া আস্হাবিহী আযমাঈন। ওয়া মান তাবিআহু বি ইহসানিন ইলা ইয়াওমিদ দীন। ইয়া আল্লাহ্! আপনি বড় মেহেরবান, আপনি বড় দয়ালু, আমারা মন থেকে আপনার শোকর আদায় করি, আপনি এখনো আমাদেরকে হায়াতে বাঁচিয়ে রেখেছেন, আপনি আমাদের জন্য তওবা ইস্তিগফারের দুয়ার খোলা রেখেছেন, আমাদেরকে যতসামান্য আমল ইবাদত বন্দেগী তাসবীহ তাহলীল আদায় করে আপনার সামনে পেশ করার সুযোগ করে দিয়েছেন তাই রাহমানুর রাহীম আপনার কোটি কোটি শোকর আদায় করি ইয়া আল্লাহ। আলহামদু লিল্লাহ। আলহামদু লিল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আপনার দরবারে আমরা কোটি কোটি দূরূদ-ছালামের হাদিয়া পেশ করলাম ইয়া আল্লাহ! আমাদের এই হাদিয়া দয়া করে কবূল করে নিন। এই দুরুদ ও ছালামের হাদিয়া আমাদের পক্ষ থেকে মদীনা মুনাওয়ারার রওযা পাকে পৌঁছিয়ে দিন, ইয়া আল্লাহ্। ইয়া আল্লাহ্! আমার পীর হযরত শায়খ ড. মুশতাক আহমদকে কবূল করে নিন। সিলসিলার সকল বুযর্গানে দীনকে কবুল করে নিন। চিশতিয়্যা কাদেরীয়্যা নকশবন্দীয়া সাহরোয়ার্দিয়্যা মুজাদ্দেদিয়্যা সহ সকল তরীকার সকল মাশায়েখের শান মান ইজ্জত বৃদ্ধি করে দিন। ইয়া আল্লাহ! আমাদের ডেমরা খানকা কবুল করে নিন। এই খানকাকে শরীয়ত ও সুন্নাতের মারকায বানিয়ে দিন। এটিকে আপনার ইশক ও মুহাব্বতের সেন্টার বানিয়ে দিন। এই খানকার সাথে যুক্ত যে যেখানে আছেন সকলকে কবুল করে নিন। দেশে বিদেশে অবস্থিত সকল মুরীদ সালেক নরনারীকে কবুল করে নিন। সকলকে পরহেযগার মুত্তাকী বানিয়ে দিন। আপনার খাটি বান্দা হিসাবে হামেশা অটল অবিচল থাকার তওফীক দান ফরমান, ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আমাকে কবূল করে নিন। আমার আব্বা আম্মাকে কবুল করে নিন। আমার ছেলে মেয়েকে কবুল করে নিন। স্বামী স্ত্রীকে কবুল করে নিন। পরিবার পরিজন সকলের মধ্যে শান্তি রাহাত দান ফরমান। যিন্দা মুরদা সকলকে কবুল ফরমান। ইয়া আল্লাহ! আমার নিকট আত্মীয় দূর আত্মীয় যাদের কথা মনে আছে এবং যাদের কথা মনে নেই সকলকে কবুল করে নিন। আমাদের যারা অসুস্থ তাদেরকে শেফা দান ফরমান। যারা বিপদে পড়ে আছে বিপদগ্রস্থদের উদ্ধার ফরমান। খাস করে যারা দুআ চেয়েছেন সকলকে কবুল করে মনোবাঞ্চা পুরণ করে দিন। ইয়া আল্লাহ প্রত্যেকের অভাব অনটন দূর করে দিন। চাকরী নকরী ব্যবসা বানিজ্য কাজ কারবারে বরকত দান ফরমান। হালাল রুজী রোজগারের বন্দোবস্ত করে দিন। প্রত্যেককে রোগ শোক বাল মসীবত থেকে হেফাযত ফরমান। ইয়া আল্লাহ্! আমাদেরকে শরীরের সুস্থতা দান করুন। মন মানসিকতার সুস্থতা দান করুন। আমাদেরকে সবর শোকরের যিন্দেগী দান ফরমান। বেসবরী ও নাশোকরী থেকে হেফাযত ফরমান। হিংসা বিদ্বেষ থেকে হেফাযত ফরমান। অন্যের প্রতি কল্যানকামিতা ও দরদ পোষনের তওফীক দান ফরমান। ইয়া আল্লাহ আমাদেকে গীবত শেকায়েত করা থেকে হেফাযত ফরমান। হামেশা আপনার যিকির ফিকরে মশগূল থাকার তওফীক দান ফরমান। ইয়া আল্লাহ আমাদের দিল ও দেমাগকে পবিত্র বানিয়ে রাখার তাওফীক দান করুন। আমদেরকে বদনজর থেকে, বদফিকির থেকে, বদখেয়াল থেকে হেফাযত ফরমান। আমাদেরকে আপনার মহামহিম যাত, আপনার মহামহীম কুদরত, আপনার অসংখ্য অগনিত নিয়ামত, আপনার রাশি রাশি দয়া ও অনুগ্রহের প্রত্যেকটিকে আমরা যেন অনুধাবন করতে পারি; মাবূদ আমাদেরকে আপনার এই মহামহিম কুদরত ও দয়ার ধ্যান ও মোরাকাবায় হামেশা ঢুবে থাকার তাওফীক দান ফরমান। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে যাহেরী বাতেনী তাযকিয়্যা দান ফরমান। আমাদেরকে আদব আখলাকের দৌলত দান ফরমান। আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব ও মানবতাবোধ দান ফরমান। অমানুষের জীবনযাত্রা থেকে আমাদের হেফাযত ফরমান। ইয়া আল্লাহ্! আমাকে এবং আমাদের সকলকে দীন ও ঈমানের পূর্ণতা নসীব ফরমান। তাকওয়া তাহারাত নসীব ফরমান। আমাদেরকে শরীঅত সুন্নাতের গভীর পাবন্দী নসীব ফরমান। গুনাহ থেকে হেফাযত ফরমান। আমাদের মনের মধ্যে আপনার ও আপনার হাবীবের মুহাব্বত দান ফরমান। আমাদের যিন্দেগীকে পাক পবিত্র বানিয়ে দিন। আমাদেরকে বরকত ওয়ালা মওত নসীব ফরমান। কবরে আমাদের সওয়াল জওয়াব আসান করে দিন। হাশর নশরের সময় আমাদেরকে যাবতীয় ফেরেশানী থেকে মুক্ত রাখুন। আমলনামা আমাদেরকে ডান হাতে দান ফরমান। আখিরাতে আমাদের হিসাব কিতাব সহজ করে দিন। আমাদেরকে মওতের পর জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান ফরমান। ইয়া আল্লাহ আমাদেরকে কদম কদম আপনার হাবীবের সুপারিশ নসীব ফরমান। আপনার খাস রহমত দান ফরমান। ইয়া আল্লাহ্! ইয়া আল্লাহ্! আমাদেরকে মক্কা শরীফ মদীনা শরীফ যাওয়ার জন্য সুযোগ করে দিন। ইয়া আল্লাহ্! আমরা গরীব হলেও আপনার রহমতের খাযানা তো গরীব নয়। ইয়া আল্লাহ্! আপনার হাবীবের রওযা পাকে গিয়ে সরাসরি দূরূদ-ছালাম পড়ে আপনার কাছে রোনাজারী করতে বড় মন চায় ইয়া আল্লাহ্। দেখা দে ইয়া এলাহী মদীনা কায়সী বস্তী হায় জাহাঁ পর রাত ও দিন মাওলা তেরী রহমত বরসতী হায় ইয়া আল্লাহ্! আপনার ঘরের দরজায় গিয়ে রোনাজারী করার জন্য মন চায় ইয়া আল্লাহ। দয়া করে তাওফীক দিন ইয়া আল্লাহ। ব্যবস্থা করে দেন ইয়া আল্লাহ। আপনার লক্ষ লক্ষ বান্দা নরনারী হজ্জে যাচ্ছেন, ওমরায় যাচ্ছেন, ইয়া আল্লাহ। আপনার জন্য এই পাগলপারা বান্দাদেরকে কবুল ফরমান। সাথে সাথে আমাদের জন্যও তওফীক বরাদ্দ করে দিন ইয়া আল্লাহ। সকলকে হারামাইনের সহীহ মুহাব্বত দান ফরমান। সকলকে হারামাইনের আদব রক্ষা করে হজ্জ ও যিয়ারত করার তাওফীক দান ফরমান ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আমরা বড় গুনাহগার, আমরা বড় নাফরমান ইয়া আল্লাহ্! না বুঝে গুনাহ করে ফেলেছি, নফস ও শয়তানের ধোকায় পড়ে গুনাহ করেছি। ইয়া সারা জীবনে এত গুনাহ করেছি যে, আমাদের গুনাহে আপনার আসমান যমীন কালো হয়ে গিয়েছে ইয়া আল্লাহ্। ইয়া আল্লাহ্! মাথা থেকে পা পর্যন্ত গুনাহে ডুবে আছি। একটি সেকেন্ডও গুনাহ থেকে মুক্ত থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে পারলাম না ইয়া আল্লাহ। বড় ভয় লাগছে ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! গুনাহ্ করলেও আপনার রহমতের দুয়ার তো ছেড়ে দেইনি ইয়া আল্লাহ। মাবূদ! আপনি রাহমান আপনি রাহীম। গুনাহ করলেও আমরা আপনার নামের সঙ্গে লাগা। আপনার হাবীবের নামের সঙ্গে লাগা আছি। ইয়া আল্লাহ্! আপনিতো ওয়াদা দিয়েছেন, কোন বান্দা তাওবা করলে আপনি তার গুনাহ মাফ করে দিবেন। আমরা আপনাকে হাজির নাজির জেনে তাওবা করলাম। দিল খুলে তওবা করলাম। মন খুলে তওবা করলাম। শরমিন্দা হয়ে তওবা করলাম। কাতর হয়ে তওবা করলাম। মনের ভিতর ধিক্কার বোধ নিয়ে তওবা করলাম। মাবূদ! দয়া করে আমাদের মাফ করে দিন। আমাদের মাফ করে দিন ইয়া আল্লাহ্। মাবূদ! গুনাহ মাফ করা যায় এমন উত্তম কোন নেক আমল আপনার সামনে পেশ করতে না পারলেও আমরা আপনার দুয়ার ছেড়ে যাই নাই গো মাবূদ। ইয়া আল্লাহ, ভিক্ষুকের মত দাঁড়িয়ে আছি। কাঙ্গালের মত বড় আশা নিয়ে খাড়া আছি। আপনার রহমতের দুয়ার ধরে অপেক্ষায় আছি গো ইয়া আল্লাহ্। ইয়া আল্লাহ্! মাবূদ! মাওলা! আমরা কল্পনায় আপনার দরবারে হাজির হলাম, আপনার কুদরতের কদমে মাথা রেখে সাজদা করলাম, আপনার সমীপে রুকু করলাম। আপনার কাছে হাত তুলে ভিক্ষা মাঙ্গলাম। মাবূদ! আমরা তো কোন ইট পাথরের কাছে যাইনি, কোন তুলসী গাছ কিংবা বটগাছের কাছে যাইনি, কোন দেবদেবীর কাছে যাইনি, কোন যিন্দা মুরদা মাখলূকের কাছে তো যাইনি। আমরা ভিক্ষার হাত তুললাম আমাদের সেই মালিকের কাছে যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, যিনি আমাদের এখনো লালন করছেন, যার কাছে আমাদের নিশ্চিত ফিরে যেতে হবে, যার হাত থেকে পালিয়ে বাঁচার মত কোন সুযোগ আমাদের নেই। যিনি আমাদের হায়াতের মালিক, যিনি আমাদের মওতের মালিক, যিনি আমাদের কবরের মালিক, যিনি আমাদের হাশরের মালিক, যার হাতে আমাদের জান্নাত জাহান্নামের সিদ্ধান্ত; সেই একক নিরাকার খোদা যার কোন শরীক নেই সেই মহীয়ান গরীয়ান মাবূদ মাওলা = আপনার কাছে হাত তুললাম গো আল্লাহ। আপনি যদি মাহরূম ফিরিয়ে দেন আমরা কার কাছে যাবো, কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিবো গো আল্লাহ। দয়া করে আমাদের একটু আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আমাদেরকে ইলম দান করুন। আমল দান করুন। তাকওয়া দান করুন। খওফ ও খাশিয়ত দান করুন। আমাদেরকে আপনার ইশক ও মুহাব্বত দান ফরমান। ইয়া আল্লাহ্! আমরা যতটুকু পারি দীনী ওয়াজ মাহফিলে হাজিরী দেই। উলামা মাশায়েখের মজলিসে হাজির হই। তাদের সান্নিধ্যে সময় ব্যয় করি। তাদের লেখা বইপত্র পড়ি। ইউটিউব থেকে হলেও তাদের কথাবার্তা শোনার চেষ্টা করি। তাঁদের মাধ্যমে ইয়া আল্লাহ যতটুকু সম্ভব আপনাকে জানার জন্য চেষ্টা করি। ইয়া আল্লাহ দয়া করে কবুল করে নিন। সর্বপ্রকার ভুল ত্রুটি থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখুন। ইয়া আল্লাহ! আপনি তো হেদায়েতের মালিক। হেদায়েতের সকল চাবি আপনারই হাতে ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ! দয়া করে আমাদেরকে গোমরাহীর দিকে ঠেলে দিবেন না ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! যতটুকু সম্ভব আমরা আমল করছি ইয়া আল্লাহ। যিকর আযকার মোরাকাবা মোশাহাদা তাসবীহ তাহলীল কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করছি ইয়া আল্লাহ্। ইয়া আল্লাহ্! যতটুকু সম্ভব সুন্নাতের আমল রাখছি ইয়া আল্লাহ। আবার যতটুকু সম্ভব মানুষকে আমলের দাওয়াতও দিচ্ছি ইয়া আল্লাহ্। ইয়া আল্লাহ! আপনাকে পাওয়ার রাস্তায়, আপনাকে রাজি খুশি রাখার রাস্তায় চলতে চেষ্টা করছি ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ! দয়া করে আমাদেরকে ধাক্কাইয়া সরিয়ে দিবেন না। আমাদেরকে হেদায়েতের এই পথ থেকে বের করে দিবেন না ইয়া আল্লাহ্। ইয়া আল্লাহ্! আপনি ধাক্কাইয়া বের করে দিলে যাবো কোথায় গো ইয়া আল্লাহ? আপনি ছাড়া আমাদের আর কোন অভিভাবক তো নেই ইয়া আল্লাহ্! আ যীযী আম জুরমহা কার দা বছে নীস্ত মা রা গায়রে তু দীগার কাছে ইয়া আল্লাহ্! আমাদের এই ক্ষুদ্র হায়াতকে আমরা কত রকম গুনাহের দ্বারা জর্জরিত করে ফেললাম। বড় শরম লাগে- কেন এত নাফরমানীর সাথে নিজকে যুক্ত করে দিয়েছি। মাবূদ! আপনি কত মেহেরবান! কত দয়ালু। আমাদের সব নাফরমানীর কথা আপনি জানেন; আমরা প্রকাশ্যে গোপনে কি করেছি, চিন্তায় ভাবনায় ভাল মন্দ কিকি জিনিস ঘুরে সবই আপনি জানেন। আপনি সবকিছু জেনেও তা কোন দিন কারো কাছে প্রকাশ করেননি। ঢেকে রেখেছেন কাউকে জানতেও দেননি। মাবূদ! আপনি সাত্তার, আপনি গাফফার, আপনি মহামহিম, আপনি পরম দয়ালু। আদর করে মায়া করে আমাদের দোষগুলি নিজগুণে ঢেকে রেখেছেন কাউকে বুঝতেও দেননি। মাবূদ! আপনি যদি ঢেকে না রাখতেন আজ আমরা মানুষের সামনে নিজের চেহারাও দেখাতে পারতাম না। মাবূদ! আমাদের প্রত্যেকটি নাফরমানীর সময় ইচ্ছা করলে আপনি আমাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করতে পারতেন। আমাদের উপর আপনার আযাব, আপনার শাস্তি আরোপ করতে পারতেন। কিন্তু আপনি বড় মেহেরবান। আপনি আমাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করেননি। মাবূদ! গুনাহের সঙ্গে সঙ্গে যদি আমাদের হাতগুলি বিকল করে দেওয়া হতো, যদি আমাদের পাগুলি অচল করে দেওয়া হতো, যবানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হতো তাহলে আজ আমাদের জন্য সমাজে মুখ দেখানোর পথ থাকতো না। মাবূদ! এত গুনাহের পরও আপনি আমাদের মাছ গোশত খাওয়ানো বন্ধ করেরনি, ঘি দুধ খাওয়ানো বন্ধ করেননি। মাবূদ! কত সুযোগ আপনি আমাদেরকে দিয়ে রাখলেন। আমরা এখনো হায়াতে বেঁচে আছি। এখনো আমাদের জন্য তওবার দুয়ার খুলে রেখেছেন। মাবূদ! তওবার দুয়ার তো খোলাই রেখেছেন; দয়া করে আমাদের গুনাহ্ মাফ করে দিন ইয়া আল্লাহ্! আমাদের মাফ করে দিলে আপনার রাজত্ব কমবে না ইয়া আল্লাহ্। জাহান্নামীদের তালিকা থেকে আমাদের নাম কেটে দিলে আপনার রাজত্ব কমবে না ইয়া আল্লাহ্। দয়া করে আমাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন। গুনাহুঁ কি-কিশতী ডুবা দে খোদায়া তু দরিয়ায়ে রাহমত বাহা দে খোদায়া ইয়া আল্লাহ্! আমাদের গুনাহের জাহাজ আপনার রহমতের সাগরের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে আমাদের পরিচ্ছন্ন করে দিন ইয়া আল্লাহ্! আমাদেরকে গুনাহ্ থেকে পাক-সাফ বানিয়ে দিন ইয়া আল্লাহ। আমরা আমাদের মা জনীনীর পেট থেকে যে রকম নিষ্পাপ বেগুনাহ এসেছিলাম সে রকম নিষ্পাপ বেগুনাহ্ বানিয়ে দিন। ইয়া আল্লাহ্! আগামী এক বছর হায়াত পাবো কিনা জানি না। আব্বা আম্মা দাদা দাদী সহ কত মানুষ কবরে চলে গেলেন। কেউ আর ফিরে আসেনি ইয়া আল্লাহ। আমরাও দুনিয়ায় কতক্ষণ আছি জানি না, ইয়া আল্লাহ। মওত নিশ্চিত কোন সন্দেহ নেই। কোন সন্দেহ নেই। কোন সন্দেহ নেই। মাবুদ আপনার কাছে যেতে হবে। আপনার সামনে হাজির হতে হবে। পালিয়ে বাঁচার মত কোন পথ নেই মাবূদ। দয়া করে আমাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ্ মাফ করে দিন। আমাদের কে পাক সাফ করে দিন। আমাদেরকে ভদ্রভাবে সুন্দর ভাবে নিষ্পাপ অবস্থায় আপনার সামনে হাজির হওয়ার পথ ধরিয়ে দিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আপনার কাছ থেকে আমরা অনেক দূরে পড়ে আছি। দয়া করে আমাদেরকে ‘তাকাররুব’ দান ফরমান। আমাদেরকে আপনার কাছে টেনে নিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আপনি না টানলে কে টানবে ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আমাদের মনগুলিকে আপনার আরশের সঙ্গে লাগিয়ে দিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আপনার অলীদের লিষ্টের মধ্যে নাম লেখায়ে দিন ইয়া আল্লাহ্। আপনার খাস বান্দাদের কাতারে আমাদেরকে দাখিল করে দিন ইয়া আল্লাহ। আপনার হাবীবের কাছে যারা প্রিয় উম্মত তাদের মধ্যে আমাদেরকে শামিল করে দিন ইয়া আল্লাহ। মওতের সময় কবরে হাশরে মীযানে আপনার হাবীবকে যেন আমরা আমাদের অভিভাবক হিসাবে আমাদের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে পেতে পারি সেই বন্দোবস্ত আমাদের করে দিন ইয়া আল্লাহ। কার লিয়া তু-নে ওলী বান্দে হাযার হামকো ভী আপনা বানা লে কিরদেগার ইয়া আল্লাহ্! আমাদের কলবের মধ্যে আপনার মুহাব্বত ঢেলে দিন ইয়া আল্লাহ। আপনার হাবীবের মুহাব্বত ঢেলে দিন ইয়া আল্লাহ। আপনার হুকুম আহকাম মান্য করার মুহাব্বত ঢেলে দিন ইয়া আল্লাহ। আপনার প্রিয় বান্দাদের মুহাব্বত ঢেলে দিন ইয়া আল্লাহ। তাদের মুহাব্বতকে পুজি করে আমরা যেন অতি সহজে মুজাহাদার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারি ব্যবস্থা করে দিন ইয়া আল্লাহ। সায়্যিদুনা হযরত ইবরাহীমের মত আমাদের কলবের ভিতরেও আপনার মুহাব্বতের আগুন জালিয়ে দিন ইয়া আল্লাহ। শরীঅত ও তরীকতের সকল বুযর্গানে দীনের সঙ্গে আমাদের দিলকে লাগিয়ে দিন ইয়া আল্লাহ। বিশেষ করে খান্দানে চিশতিয়ার বরকত আমাদের দিলের মধ্যে ঢেলে দিন ইয়া আল্লাহ। ইশক ও মুহাব্বতের আগুন দিয়ে আমাদেরকে পাগলপারা করে রাখুন ইয়া আল্লাহ। শরাবে মুহাব্বত পিলা দে খোদায়া! মুহাব্বত কী আতেশ জ্বালা দে খোদায়া
মুহাব্বত ছে তেরে মিটা দে খোদায়া! তেরে দর ছে হামকো লাগা দে খোদায়া ইয়া আল্লাহ্! আপনার কাছে আবদার আপনার কাছে আরজী আমাদের জন্য শান্তি ও আরামের মওত দান ফরমান। শারিরীক মানসিক কোন চাপ থেকে মুক্ত অবস্থায় আটার কাই থেকে চুল যেমন বেরিয়ে যায় সে রকম শান্তির সাথে যেন আমাদের মওত হয় কবুল ফরমান। আমাদের মওতকে শহীদের মওত হিসাবে মর্যাদা দান ফরমান। শহীদদের মত বিনা হিসাবে আখিরাত পাড়ি দিতে পারি ব্যবস্থা করে দিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ! কিয়ামত পর্যন্ত কবরে ঘুমিয়ে থাকতে চাই। কবরে তাসবীহাতের পাহারার মধ্যে থাকতে চাই কবুল করে নিন। কবরের জানালা দিয়ে জান্নাতের সুবাতাস পেয়ে আরামে ঘুমিয়ে থাকতে চাই কবুল ফরমান। ইয়া আল্লাহ! কবরে আরামে ঘুমিয়ে থাকার আশায় শেষ রাত্রে উঠে ইবাদত বন্দেগী করার তাওফীক দিন ইয়া আল্লাহ। রোযানা সকাল বিকাল ৬ তাসবীহ, শেষ রাতে তাহাজ্জুদ ও ১২ তাসবীহ আদায়ের তওফীক দিন ইয়া আল্লাহ। নিয়মিত পবিত্র কুরআনে পাক তিলাওয়াত, মোরাকাবা মোশাহাদা, তাসবীহ তাহলীল, দুআ রোনাজারী করার তাওফীক দান ফরমান ইয়া আল্লাহ্! মওত কোন সময় চলে আসবে জানি না। ইয়া আল্লাহ্! মওতের সময় শরমিন্দা বানাবেন না ইয়া আল্লাহ্! ইজ্জতের সাথে লোমকুপের গোড়া গোড়া থেকে কলমা পড়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চাই ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ! দুনিয়া থেকে বিদায় কালে আপনার কোটি কোটি ফেরেশতার সর্বোচ্চ সম্মান জনক অভ্যার্থনা নিয়ে কবরের জগতে প্রবেশ করতে চাই কবুল করে নিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ! মওতের সময় আমাদেরকে সাকারাতে কষ্ট থেকে, গামারাতের কষ্ট থেকে, বালাগাতিত তারাকীর কষ্ট থেকে, বালাগাতিল হুলকূমের কষ্ট থেকে হেফাযত ফরমান। ইয়া আল্লাহ! মওতের সময় আপনার পক্ষ থেকে মহা মনোরোম ও সর্বোচ্চ আতিথ্য আয়োজনের দৃশ্য চিত্র দেখে দেখে মনের ভিতর অপরিসীম আনন্দ অপরিসীম প্রফুল্লতা নিয়ে যেন কবরের দেশে যেতে পারি আমাদের তাওফীক দিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আপনার কাছে ফরিয়াদ, আমাদের মধ্যে যারা অসুস্থ, যারা বার্ধক্যক্লান্ত সকলকে শেফা দান ফরমান। যারা রোগ শোক নিয়ে বিছানায় পড়ে আছেন, হাসপাতালে আছেন, সকলকে শেফা দান করুন। ইয়া আল্লাহ! রোগ যন্ত্রনা আপনার পক্ষ থেকে খাস পরীক্ষা হিসাবে আসে। ইয়া আল্লাহ আমরা দুর্বল। রোগ যন্ত্রণার কঠিন পরীক্ষা নিলে পাশ করতে পারবো না ইয়া আল্লাহ্। ইয়া আল্লাহ্! সকলকে সুস্থতা দান ফরমান। মওত পর্যন্ত সুস্থতার সাথে আপনার ইবাদত বন্দেগী করার তওফীক দান ফরমান। ইয়া আল্লাহ্! আপনার কাছে ফরিয়াদ, যারা দুআ চেয়েছেন সকলকে কবুল করে নিন ইয়া আল্লাহ। সকলের রিযিক সুপ্রশস্থ করে দিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! কারো সামনে মুহতাজ বানিয়ে রাখবেন না ইয়া আল্লাহ্। ইয়া আল্লাহ্! কারো সামনে ঋণী করজদার বানাইয়া শরমিন্দা করবেন না ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার কাছে ভিক্ষুক বানিয়ে রাখুন; আর মানুষের কাছে আমীর বানিয়ে রাখুন ইয়া আল্লাহ। ছেলে মেয়েদের কারনে আমাদেরকে শরমিন্দা বানাবেন না ইয়া আল্লাহ। আমাদের কারণে ছেলে মেয়েদের শরমিন্দা বানাবেন না ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! যারা ক্ষেত খামার করে বরকত দান ফরমান। যারা সওদাগরী করে বরকত দান ফরমান। যারা চাকুরী নকরী করে বরকত দান ফরমান। যারা কন্ট্রাকটারী করে বরকত দান ফরমান। যারা মিল ফেক্টরী চালায় বরকত দান ফরমান। কর্মকর্তা কর্মচারীদের আমানতদার বানিয়ে দিন। ইয়া আল্লাহ্! যারা ছোট-বড় বিভিন্ন ব্যবসা করে বরকত দান ফরমান। যারা গাড়ীর ব্যবসা করে বরকত দান ফরমান। ইয়া আল্লাহ্! আপনার রহমতের চাঁদর দিয়ে সকলকে ঢেকে নিন। আমাদেরকে ফিতনা ফাসাদের মধ্যে ঠেলে দিবেন না ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আমরা কত আরামে জীবন যাপন করছি; খাওয়া দাওয়া করি, কাজ কর্ম করি- ইয়া আল্লাহ! দুনিয়ার কত স্থানে কত দেশে কত হাজার হাজার মুসলমান মা বোনদের কত কষ্ট হচ্ছে গো মাবূদ; নানা রকমের জুলুম অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে তারা জীবন কাটছেন। পা রাখার জায়গা পায় না, মাথার উপর কোন ছায়া নেই। পেটে ভাত নেই, পরনে কাপড় নেই। সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কত নিপীড়ন নির্যাতন চলছে ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! মুসলিম উম্মাহর জন্য আপনার রহমত বৃদ্ধি করে দিন। মুসলিম সমাজ ও দেশগুলির উপর রহমত নাযিল ফরমান। মা বোনদের ইজ্জত আবরুর হেফাজত ফরমান। শিশু কিশোরদের আর্তনাদ কবুল ফরমান ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! দেশে দেশে মুসলমানদের রক্ত ঝরছে। ইয়া আল্লাহ্! মুসলমানদের রক্ত আর দেখতে ভাল লাগে না ইয়া আল্লাহ্। ইয়া আল্লাহ্! স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ে আমাদের ছেলে মেয়েদের হিফাজত ফরমান। মুসলিম যুবক-যুবতীদের হেফাজত ফরমাও। আপনার রহমতের দ্বারা তাদের নামাযী বানিয়ে দিন। তাদের দীনদার বানিয়ে দিন। তাদের যিকর আযকার করনেওয়ালা বানিয়ে দিন। কুরআন পাকের তিলাওয়াতকারী বানিয়ে দিন। তাদের কলিজার ভিতত দয়াল নবীব মুহাব্বত ঢেলে দিন। মক্কা মদীনার প্রেমের আগুন জ্বালিয়ে দিন। ইয়া আল্লাহ্! আখেরী ফরিয়াদ ইয়া আল্লাহ! দুশমনের কাছে হাত পাতলে দুশমন লোকটিও তো ফরিয়াদী মানুষটিকে খালি হাতে ফেরত দেয় না। আপনি তো আমাদের রাব্ব, আমাদের অভিভাবক, আমাদের প্রভু, আমাদেরকে আপনি বড় মুহাব্বত করেন- আমাদেরকে কেন খালি হাতে ফেরত দিবেন মাবূদ! আমাদের খালি ফেরৎ দিলে যাবো আমরা কোথায় যাবো, কার কাছে যাবো ইয়া আল্লাহ্! দাস্তগীরী কি জীয়ে মেরে খোদা তা না হো হাম তেরে সে একদম জুদা ইয়া আল্লাহ্! আমাদের আশেপাশে যে সব কবরস্থান আছে, যে সব মুরদেগান সেখানে কবরস্থ আছেন ইয়া আল্লাহ তাদের কবর আযাব মাফ করে দিন। কবরগুলোকে নূর ও রহমত দিয়ে ভরে দিন। ইয়া আল্লাহ্! আপনার দয়া ও রহাতের উসীলায়, আপনার প্রিয় হাবীবের উসীলায়, আপনার ইছমে আযমের উসীলায়, সাহাবীগণের উসীলায় আমাদের দুআগুলো কবুল করে নিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আমার ও আমাদের এই বৈঠককে কবুল করে নিন ইয়া আল্লাহ। ইয়া আল্লাহ্! আবার কোন সময় এভাবে বসতে পারি কিনা, আবার এভাবে তোমার কাছে হাত উঠাতে পারি জানি না মাওলা। হতে পারে আমার এই ফরিয়াদ হয়ত জীবনের শেষ ফরিয়াদ। ইয়া আল্লাহ! এই অধমকে এই অধমকে এই অধমকে কবুল করে নিন ইয়া আল্লাহ। ওয়া সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলা খায়রি খালকিহী মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা আলিহী ওয়াস্ হাবিহী আজমাঈন। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন। |
আমাদের সাথে যুক্ত হওয়ার লিঙ্ক Youtube: https://bit.ly/YoutubeDrMushtaque Facebook page: https://bit.ly/DrMushtaqueFacebook Facebook profile: https://bit.ly/ProfileDrMushtaque Instagram: https://bit.ly/DrMushtaqueInstagram আলোচনা উপস্থাপনা করছেন, অবিসংবাদিত আধ্যাত্মিক রাহবার, পীরে কামিল, হযরত শায়খ আল্লামা ড. মুশতাক আহমদ। ডেপুটি ডিরেক্টর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সম্মানিত পীর সাহেব খানকা শায়খ যাকারিয়্যা ঢাকা, বাংলাদেশ মুহতামিম, জামিয়া শায়খ যাকারিয়্যা ঢাকা, কাচকুরা, উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ। খতিব, তেজগাঁও রেলস্টেশন জামে মসজিদ কমপ্লেক্স। শাইখুল হাদীস, তেজগাঁও রেলওয়ে জামিয়া ইসলামিয়া, তেজগাঁও, ঢাকা বি:দ্র: প্রতি ইংরেজী মাসের ১ম শুক্রবার জামিয়া শায়খ যাকারিয়া -উত্তরখান-কাঁচকুড়া-ঢাকা তে এবং ২য় শুক্রবার তেজগাঁও রেলস্টেশন জামে মসজিদে বাদ আছর থেকে ইশা পর্যন্ত ইসলাহী মাহফিল/শবগুজারী হয় । আপনার সবিনয় দাওয়াত রইল । র্সাবিক যোগাযোগ, ০১৭৬৪০১৫৮৬৭, ০১৭৩৩৫৪৯৩৫৪, |
কাজ চলমান..........