আস-সালামু আলাইকুম। SQSF-কাউন্সেলিং সেন্টার এন্ড স্মার্ট লাইব্রেরী (আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার)।
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোকদের মধ্যে নৈতিক মূ্ল্যবোধ তৈরী হয় না কেন? এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়গুলো কি কি হতে পারে? খুব সহজে আগামী প্রজন্মকে কিভাবে নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি? বিস্তারিত বর্ণনা।
ঘটনাস্থলের পাশের দোকানগুলো গতকাল ২ লিটার পানি ৬০০ টাকা বিক্রি করেছে, কারণ পোড়া স্থানে ঠান্ডা পানি আরাম লাগে। অথচ তারাও এদেশের মানুষ। ২১/০৭/২০২৫ মালস্টোন স্কুলে যুদ্ধ বিমানের ধ্বস।
উপসংহার:
নৈতিক প্রজন্ম তৈরির শুরু হয় পরিবার ও ইসলামী শিক্ষা থেকে। SQSF-এর মতো সংগঠন যদি এই দায়িত্ব নেয় এবং সমাজ সহযোগিতা করে, তাহলে আগামী প্রজন্ম হবে ইনশাআল্লাহ নৈতিক, দায়িত্বশীল ও আলোকিত।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে না ওঠার কিছু প্রধান কারণ এবং এর সমাধান নিয়ে নিচে সহজভাবে আলোচনা করা হলো:
কারণসমূহ (কেন নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি হয় না):
১. পারিবারিক অবহেলা:
পরিবারে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার চর্চা না থাকা।
২. শিক্ষাব্যবস্থায় ঘাটতি:
পাঠ্যবইয়ে তত্ত্ব থাকলেও বাস্তব জীবনের নৈতিক অনুশীলন নেই।
৩. মিডিয়া ও প্রযুক্তির অপব্যবহার:
ইউটিউব, ফেসবুক, গেম—সবই বিনোদননির্ভর, নৈতিকতা নয়।
৪. ধর্মচর্চার ঘাটতি:
নামাজ, কুরআন, দোয়া শেখানো হয় না বা অনুশীলন হয় না।
৫. দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ও নেতিবাচক রোল মডেল:
শিশু দেখে চারদিকে মিথ্যা, ঘুষ, প্রতারণা—এটাই ‘সচল নিয়ম’ ভাবতে শেখে।
সমাধান (পরিত্রাণের উপায়):
১. পরিবারে নৈতিকতা চর্চা:
ঘরে মা-বাবা নিজেরাই সততা, নম্রতা, দায়িত্বশীলতা অনুশীলন করুক।
2. নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা:
স্কুলে শুধু ইসলাম শিক্ষা নয়, বাস্তব জীবনের মূল্যবোধ—যেমন: দয়া, সহনশীলতা, শ্রদ্ধা—শেখাতে হবে।
3. ধর্মীয় অনুশীলনের পরিবেশ:
ঘরে কুরআন তিলাওয়াত, নামাজ, হাদিস পাঠ করার অভ্যাস গড়ে তোলা।
4. আচরণভিত্তিক শেখানো (Modeling):
শিশু যা দেখে, তাই শেখে। শিক্ষক, অভিভাবক, বড় ভাই-বোনরা হোন জীবন্ত আদর্শ।
5. সামাজিক উদ্যোগ:
SQSF-এর মতো ইসলামী কাউন্সেলিং সেন্টারগুলোকে সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ার উপায় (সহজ রূপরেখা):
১. ৩ বছর বয়স থেকেই শিশুর সঙ্গে বিনয়ের চর্চা শুরু।
২. প্রতিদিন নৈতিক গল্প শুনানো (হাদিস, সাহাবাদের ঘটনা)।
3. স্কুলে সাপ্তাহিক ‘নৈতিক ক্লাস’ বাধ্যতামূলক।
4. স্কুলে ও পরিবারে নিয়মিত মূল্যবোধ চর্চার প্রতিযোগিতা।
5. SQSF-এর মতো প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক, প্যারেন্টিং ও শিশুদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ।
ইসলামের দৃষ্টিতে:
হাদিস:
“তোমাদের প্রত্যেকেই রাখাল, এবং প্রত্যেকে তার অধীনস্থদের বিষয়ে জবাবদিহি করবে।”
(সহীহ বুখারী)
অর্থাৎ, পরিবার-প্রতিষ্ঠান-সমাজ প্রত্যেকে দায়িত্বশীল। সবাই মিলে দায়িত্ব নিলে একটি নৈতিক প্রজন্ম তৈরি করা সম্ভব।
রাসূল (সা.) বলেন,
“আমাকে এজন্যই প্রেরণ করা হয়েছে, যেন আমি চরিত্রের উৎকর্ষতা পূর্ণ করি।”
(মুয়াত্তা মালিক)
উপসংহার:
নৈতিক প্রজন্ম তৈরির শুরু হয় পরিবার ও ইসলামী শিক্ষা থেকে। SQSF-এর মতো সংগঠন যদি এই দায়িত্ব নেয় এবং সমাজ সহযোগিতা করে, তাহলে আগামী প্রজন্ম হবে ইনশাআল্লাহ নৈতিক, দায়িত্বশীল ও আলোকিত।