আস-সালামু আলাইকুম। SQSF-কাউন্সেলিং সেন্টার এন্ড স্মার্ট লাইব্রেরী (আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার)।
আমাদের পরিবার ও প্রযুক্তি বিষয়ক ইসলামের দৃষ্টিতে বিস্তারিত বর্ণনা।
পরিবার ও প্রযুক্তি — ইসলামের দৃষ্টিতে বিস্তারিত বিশ্লেষণ
১. প্রযুক্তি: আল্লাহর নিয়ামত
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রযুক্তি কোনো হারাম বা নিষিদ্ধ জিনিস নয়। বরং, এটি আল্লাহর দেওয়া জ্ঞান ও অনুগ্রহের ফসল, যা মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত।
আল্লাহ বলেন:
"আর তিনি (আল্লাহ) তোমাদের জন্য নিয়ামতসমূহকে নিয়ন্ত্রণাধীন করে দিয়েছেন, আকাশ ও জমিনে যা কিছু আছে — সবই।"
(সূরা জাসিয়া: ১৩)
২. প্রযুক্তি ও পারিবারিক জীবনে প্রভাব
ইসলাম চায় ভারসাম্যপূর্ণ জীবন।
প্রযুক্তি যেমন যোগাযোগ সহজ করেছে, তেমনি ভুল ব্যবহার পরিবার ধ্বংসও করতে পারে।
ইতিবাচক দিক:
- শিক্ষা ও ইসলামি জ্ঞান সহজলভ্য
- পরিবার-পরিজনের সাথে দূর থেকেও সংযোগ
- দাওয়াত ও ইসলাম প্রচারে সহায়ক
নেতিবাচক দিক:
- অতিরিক্ত মোবাইল/স্ক্রিন টাইমে পারিবারিক সময় নষ্ট
- গোপনীয়তা ভঙ্গ ও অবিশ্বাস
- অশ্লীলতা, গীবত, ফেতনা ও ঝগড়ার জন্ম
৩. সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও ইসলামের নির্দেশনা
রাসূল (সা.) বলেন:
“প্রত্যেক শিশুর ওপর তার পিতা-মাতার একটি হক রয়েছে, তাকে ভালোভাবে আদব ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া।”
(তিরমিজি)
তাই সন্তানকে ছোটবেলা থেকে:
- সময় নির্ধারণ করে ডিভাইস দেওয়া
- ইসলামিক কনটেন্ট ও বই পড়ায় উৎসাহ
- খেলাধুলা ও সামাজিক আচরণে অংশ নিতে উৎসাহ
৪. করণীয়: ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে প্রযুক্তি ব্যবহারে নির্দেশনা
১. নিয়মিত সময় নির্ধারণ করে প্রযুক্তি ব্যবহার
২. পরিবারের সাথে বসে খাওয়া-দাওয়া ও কথা বলা
৩. অশ্লীলতা, গীবত, মিথ্যা ও নেতিবাচক কনটেন্ট থেকে বিরত থাকা
৪. ইসলামিক অ্যাপ, ভিডিও ও বই ব্যবহার
৫. পরিবারিক কাউন্সেলিং ও প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ
উপসংহার:
প্রযুক্তি হলো ছুরি — ভালো কাজে ব্যবহার করলে উপকার, আর অপব্যবহার করলে ক্ষতি।
ইসলাম চায় সচেতন ব্যবহার, পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষা ও আত্মিক উন্নতি।
তাই SQSF-এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিবার ও প্রযুক্তির ভারসাম্য বজায় রেখে জীবনকে আলোকিত করা যায়।
পরিবার বাঁচলে সমাজ বাঁচবে — প্রযুক্তি হবে তখনই বরকতময়।