আস-সালামু আলাইকুম। SQSF-কাউন্সেলিং সেন্টার এন্ড স্মার্ট লাইব্রেরী (আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার)।
নিজের অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন মিথ্যা অন্যের চাপানো বা মানুষের চিন্তাকে অন্যদিকে ঘুরাতে বিভিন্ন ইস্যু বের করা কি ও কেন? এগুলোকে কি বলে? একটি প্রতিবেদন
প্রতিবেদন
বিষয়: নিজের অপকর্ম ঢাকতে মিথ্যা চাপানো ও ইস্যু ঘোরানোর প্রবণতা
এই আচরণকে কী বলা হয়?
এই ধরণের কর্মকাণ্ডকে বলা হয়:
- ব্লেইম শিফটিং (Blame Shifting) – নিজের দোষ অন্যের ওপর চাপানো।
- ডাইভারশন (Diversion) – মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে দেওয়া।
- স্কেপগোটিং (Scapegoating) – নিজের অপরাধ ঢাকতে নির্দোষ কাউকে দোষী বানানো।
- গ্যাসলাইটিং (Gaslighting) – অন্যকে বিভ্রান্ত করে নিজের দায় এড়ানো।
কেন এই কাজ করে মানুষ?
১. নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে।
২. অপরাধ বা ব্যর্থতা গোপন করতে।
৩. জনমত বিভ্রান্ত করতে।
৪. সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে।
৫. নিয়ন্ত্রণ বা ক্ষমতা ধরে রাখতে।
ফলাফল কী হয়?
- সত্য আড়াল হয়ে যায়।
- ভুল মানুষ অপবাদ পায়।
- বিশ্বাস ধ্বংস হয়।
- মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।
- সমাজে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা ছড়ায়।
ইসলামের দৃষ্টিতে:
- মিথ্যা বলা হারাম।
- অন্যের দোষ চাপানো গুরুতর গুনাহ।
- রাসূল (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে অন্যের ক্ষতি করে, সে জাহান্নামে যাবে।” — (সহিহ বুখারি)
- সত্য প্রতিষ্ঠায় নীরব থাকা অপরাধে সহায়তা।
কীভাবে সতর্ক করবেন?
১. সচেতনতা বাড়ান – মিথ্যার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিন।
২. যুক্তি ও প্রমাণ দেখুন – আবেগ নয়, তথ্যের ভিত্তিতে বিচার করুন।
৩. নিরপেক্ষ থাকুন – কোনো পক্ষ নেয়ার আগে উভয় দিক জানুন।
৪. সত্যপ্রিয়তা চর্চা করুন – সমাজে সততার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন।
উপসংহার:
নিজের ভুল ঢাকতে মিথ্যা বানানো ও ইস্যু ঘোরানো ব্যক্তিত্বের দুর্বলতা এবং সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ থেকে বাঁচতে ব্যক্তি ও সমাজকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা ও মিথ্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াই একজন প্রকৃত মুমিনের পরিচয়।
— প্রস্তুতকারী: [আপনার নাম/প্রতিষ্ঠান]