As-Salamu Alaikum. Welcome to Our SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী এবং কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির) সফটওয়্যার_SQSF-Smart Library and Counseling Software. Reg No: S-13909 www.sqsf.org ফোনঃ 01764 444 731
তারিখঃ ০/০/২০২৩ ইং
বরাবর,
জনাব এ.এইস.এম আমিনুর রহমান সমীপে,
প্রিন্সিপাল,
কাজীপাড়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা, মিরপুর।
বিষয়ঃ ক্লাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক পরামর্শমূলক প্রস্তাব। খুব সহজে কোন প্রকার চাপ ছাড়াই সকল বিষয়ের শিক্ষক ডিজিটাল ক্লাস নিতে পারবে পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্টসহ আদর্শবান শিক্ষকের করণীয় ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা প্রসঙ্গে।
ভূমিকাঃ
দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন এবং পাশাপাশি আধুনিক মিরপুরের রুপকার ডিজিটাল ও কাজীপাড়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রাণপ্রিয় অভিভাবক আলহাজ কামাল আহমেদ মজুমদার স্যারসহ আপনি যে স্বপ্ন দেখছেন যে, আপনার প্রতিষ্ঠানে সকল বিষয়ের পাঠদান পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করুক।
বিঃদ্রঃ শিক্ষায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারঃ এখানে দুটি বিষয় আছে
১) শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন, সংযোজন-বিয়োজন ইত্যাদি।
২) পাঠদান পদ্ধতিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি তথা ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার করে পাঠদান ইত্যাদি। আমাদের আলোচ্য বিষয় ২য়টি।
আলিয়া মাদরাসা নিয়ে মন্তব্য করেন আলী ইমাম মজুমদার। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব। প্রথম আলো- ১১ নভেম্বর ২০২১।
আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাফল্য যখন আলোচনায়
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা ছাড়াও দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যায় অনেকগুলো ইউনিটেই শতকরা প্রায় ৯০ জন ছাত্রছাত্রী পাস নম্বরই পায়নি। এটি দুঃখজনক এবং আমাদের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান দৈন্যের স্মারক। আবার দেখা গেছে পরীক্ষায় মাদ্রাসশিক্ষার্থীদের অনেকে তুলনামূলক ভালো ফল করেছে।
এটা যেমন আলিয়া মাদরাসার জন্য সু খবর বটে তেমনি অন্যদিকে আলিয়া মাদরাসার জন্য আরেকটা ভবিষ্যৎ হুমকি রয়েছে আর তা হলো এই যে, কালেরকন্ঠ- ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ একটি প্রতিবেদন ছাপা হয় তার আংশিকঃ
আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষার্থী কমছে কেন? যুবায়ের আহমাদ, কালেরকন্ঠ- ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষার্থী কমতে থাকার বড় একটি কারণ হলো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো যথাযথ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়া। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে হাই স্কুলে ভর্তি হয়। প্রতিটি হাই স্কুল এলাকায় রয়েছে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী জোগান দিচ্ছে চার-পাঁচটি প্রাইমারি স্কুল। ফলে হাই স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীর অভাব হয় না। কিন্তু স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি (প্রাথমিক স্তরের) মাদরাসাগুলোর শিক্ষকরা যুগের পর যুগ ধরে এমপিও পাওয়ার আশায় থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়ায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো অস্তিত্ববিহীন হয়ে যাচ্ছে বলে দাখিল (মাধ্যমিক) মাদরাসাগুলো ছাত্র সংকটে পড়তে বাধ্য হচ্ছে। ছয় হাজার ৮৪৮টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় ৩৪ হাজার শিক্ষকের মধ্যে মাত্র এক হাজার ৫১৯টি মাদরাসার ছয় হাজার ৭৬ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত। তাও ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত ৫০০ টাকা পেতেন এবং বর্তমান সরকারের বদান্যতায় দুই হাজার ৩০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় অনেক ইবতেদায়ি মাদরাসার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে এরই মধ্যে। হাজার হাজার শিক্ষক কোনো বেতন-ভাতা না পেয়েই অবসর গ্রহণ করেছেন।
যাইহোক সর্বোপরি আমি যা স্বরেজমিনে ঘুরে দেখেছি বা আপনি আমার চেয়ে বেশি অবগত তা হলোঃ
ক) শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি অনিহা ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলা চরম অবনতিতে....।
আদব-কায়দা যেন সোনার হরিণ...।
শিক্ষার্থীদের পরস্পর মারামারি ইত্যাদি...।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের প্রতি চরম ক্ষোভ/বদনাম ইত্যাদি...।
খ) বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলছি যে, শতভাগ চেষ্টা করার পরও একজন শিক্ষককে বোঝানো যাচ্ছে না যে, তার পেশায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বা প্রযুক্তির উপর ভর করে নিজের শিক্ষকতার পেশা-পাঠদানকে অত্যাধুনিক আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।
গ) শতভাগ চেষ্টা করার পর ও একজন শিক্ষককে বুঝানো যাচ্ছে না যে তার পেশায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তথা প্রযুক্তির উপর ভর করে নিজের শিক্ষকতার পেশা-পাঠদানকে অত্যাধুনিক আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।
ঘ) বোঝানো সম্ভব হলেও তা শতভাগ চেষ্টার পরও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। পজিটিভভাবে না বোঝার দরুণ স্বরজমিনে ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ আলেমসমাজ ও সরকারি বেসরকারী শিক্ষক ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার কঠিন সমালোচনা ও বিরুধীতা করছে।
ঙ) প্রযুক্তির ব্যবহার করার কারণে শিক্ষার্থীরা যা দীর্ঘ এক সপ্তাহব্যাপী চেষ্টা করে শিখতে বা বুঝতে পারতো না তা এখন মাত্র এক ঘন্টার একটি ক্লাসে বুঝতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ। এটা প্রযুক্তির অবদান।
চ) মূলত শিক্ষার্থীরা ক্লাসে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও নিত্য নতুন বিষয় পেলে তাদের অন্তরকে শান্ত করা সম্ভব হবে এবং তাদের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের পথ সুগম হবে, ইনশাআল্লাহ।
ছ) এর জন্য প্রতিটি শিক্ষককে ক্লাসে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। ৪০ মিনিট পড়ানোর জন্য তাকে অনেক ঘন্টা পড়াশোনা করতে হবে।
ঝ) আমার জানামতে ১০০% শিক্ষকের মধ্যে ৯৯% শিক্ষক প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি।
ঞ) আমার মতে শিক্ষকগণ প্রযুক্তি নির্ভর না হয়ে উঠার কারণ হলোঃ
এই বিষয়েটিকে কঠিন মনে করা বা আসলে কিছুটা কঠিন বটে।
সমাধান
ক) আমরা যদি শিক্ষকদেরকে বুঝাতে পারি যে
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা একদম পানির মত সহজ। আমরা যেভাবে প্রতিদিন কষ্ট করা ছাড়াই ফেসবুক/ইউটিউব/ হোয়াটসঅ্যাপ /ইমো ইত্যাদি সহজে ব্যবহার করছি, ঠিক সেভাবেই প্রতিদিনের পাঠ শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা অত্যন্ত সহজে উপাস্থাপন করতে পারবো।
খ) প্রস্তাবিত ফরমেটে এমন হবে যে, ৪০ মিনিট শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের জ্ঞান বিতরণ শেষ হবে না, কারণ তখন আমাদের কাছে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিকতার উপর পর্যাপ্ত তথা হাজার হাজার গল্প-পাঠের জ্ঞানের বিশাল বস্তা-সম্ভার আছে। এমন একটা অবস্থা প্রতিটি বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে খুব সহজে এমন একটা অবস্থা তোইরি করা।
গ) আসলে ফেসবুক/ইমো সহজ ব্যাপার না।
একটা টিম অনেক কষ্ট করে আমাদের সামনে রেডি খাবারের মত ব্যবহার উপযোগী করে দিয়েছে। তাই আমরা অনায়েসে সহজে ব্যবহার করছি।
ঘ) তেমনি কঠিন বিষয়গুলো যদি কিছু শিক্ষক কঠিন কাজ করে রেডি করে দেয় তবে তা 000 শিক্ষক প্রতিদিন সাত পিরিয়ড তথা 000 টি ক্লাসে প্রযুক্তি ব্যবহার পাঠদান করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
ঙ) এতে করে কাজীপাড়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা এবং মাদরাসার সকল অভিভাবকদের স্বপ্ন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হবে। পাশাপাশি ইবতেদায়ীসহ সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে, ইনশাআল্লাহ।
চ) এ ব্যাপারে আপনার সাথে পরীক্ষা মূলক, গবেষণা মূলক, পরামর্শ মূলক আমার একটা প্রেজেন্টেশন-প্রস্তাব আছে, আপনি সুযোগ করে দিলে আমি তা স্ব বিস্তারে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
ছ) আপনি কাজের পরিবেশ করে দিলে আমি আশাবাদী আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সবাইকে আমরা উদ্ভুদ্ধ করতে পারবো তথা একটা ইতিবাচক মনোভাব তৈরী করতে পারবো, ইনশা আল্লাহ। যেন তারা ঈদের পর থেকে নিয়মিত কোন প্রকার চাপ ছাড়াই সকল ক্লাসে ডিজিটাল ক্লাস নিজ ইচ্ছায় নেন, ইনশাআল্লাহ। কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে হবে না। ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্ট এর প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাবে। শিক্ষকতার জন্য অন্যান্য জরুরী বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।
জ) এতে করে মাত্র ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আমরা একটা উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
স্যার আপনার পজিটিভ রেসপন্স আশা করছি। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিলে প্রতিটি বিষয়ের ১/২ জন শিক্ষকদের নিয়ে একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
ক্লাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক কমিটি নাম হতে পারে।
(সকলের কল্যাণের নিয়তে লিখলাম। যে কোন ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার বিষয় অনুরোধ করছি)
নিবেদক
মুফতি মোঃ আরিফুল ইসলাম।
★সহকারী ধর্মীয় শিক্ষক,
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। মিরপুর, ঢাকা।
★প্রশিক্ষক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি। ইসলামীক ফাউন্ডেশন।
★ প্রশিক্ষক, দ্বীনিয়াত বাংলাদেশ। পৃথিবীর প্রায় ৫০ দেশে বিস্তৃত।
★প্রধান প্রশিক্ষক,
SQSF শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
★প্রধান এডমিন, SQSF স্মার্ট সহায়িকা। সকল বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য সহায়িকা। শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করার অবিরাম চেষ্টা।
★প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,
তাসহীহুল কুরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশন। www.sqsf.org
★প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,
আন-নাজাত হিফজুল কুরআন বালক বালিকা মাদরাসা ও এতিমখানা।
**তাসহীহুল কুরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশন।
প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন-
মরহুম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিঞা। (মুস্তাকিম হুজুর রহ.)