কুকুর হতে নয়, কুকুরের মতো মানুষ হতে সাবধান! Be careful not to be a dog, but to be a dog-like person. আস-সালামু আলাইকুম। SQSF-কাউন্সেলিং সেন্টার এন্ড স্মার্ট লাইব্রেরী (আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার)।
কুকুর হতে নয়, কুকুরের মতো মানুষ হতে সাবধান!

কুকুর থেকে সাবধান মূলতঃ কুকুর হতে নয়, কুকুরের মতো মানুষ হতে সাবধান!

যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। তাই কুকুর হইতে সাবধান। 

ইনোসেন্ট মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর ফাঁদ। সতর্ক থাকুন, হায়া বজায় রাখুন এবং ইসলামের সীমারেখা লঙ্ঘন করবেন না।


বিস্তারিত

১.ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!


২. ম্যাডাম, একটা কথা বলবো? অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!
৩. মন খারাপ কেন ভাবী? ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!
৪. একটা কথা বলি আপু! কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলেও যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!
৫. আপনি যা ইচ্ছা মনে করতে পারেন, আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না, বলে দিচ্ছি। হুঁ! দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!
৬. একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানিয়েছে! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি! সত্যি অনেকটা কোয়েল মল্লিকের মতো লাগে আপনাকে!

৭. জন্মদিনে এবার কি কি করলেন আপনারা?
আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!!
কি যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! হাসবেন না, সিরিয়াসলি!
-----------------------------------------------
বিঃ দ্রঃ - অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ,পাশের বাসার ভাবী, কিংবা বন্ধুর বউ,পরিচিত আপু ম্যাডামদের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো "জাস্ট প্রশংসাবাক্য"।
 
এর গভীরে যে কত বড় লাম্পট্য, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে আছে, খেয়াল না করলে বুঝার উপায় নেই। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা!
 
খুব স্মার্ট সুদর্শন পুরুষ দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহিলারাও এরকম ফ্লার্ট করে। সে সংখ্যাটাও কম না!!
 
যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনাও করেন নি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তুু স্বামীকে অনেক ভালোবাসেন। পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা শুনে, "আমি হলে পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম" কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবেন, এই স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো কিছু আশা করি!

যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছেন, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যাস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করেন না, সে মহিলাও যখন বাইরের কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনেন তখন তার মনে হতে পারে, "ওর সাথে এত্তদিন সংসার করলাম, ও তো একটা দিনের জন্যেও এভাবে আমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করলো না!" নিজের বয়সের ব্যাপারে বাইরের পুরুষের প্রশংসা শুনে মহিলা, বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখেন। ভাবতে থাকেন, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দরই। আর ওই পুরুষটাই আমার এ সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো!

হ্যা, এভাবেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ যা পৃথিবীর নিকৃষ্টতম সম্পর্ক বা পরকীয়া বা ঘর ভাংগার মত ক্ষতির কাজ। তথা কথিত একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা"ই ধ্বংস করে দিতে পারে একটা মানুষকে, একটা পরিবারকে!

এটা ভাবার কোনো কারণ নাই যে, যারা "ভাবী" টার প্রশংসা করছে, এরা "ফ্রি মাইন্ড" এ ইনোসেন্ট মন নিয়ে করছে!

নাহ, এরা অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই কুমতলব নিয়েই প্রশংসা করে!!


যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। তাই কুকুর হইতে সাবধান।


ইনোসেন্ট কি ও কেন? এর রুপরেখা কেমন? এর ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি? এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়গুলো কি কি?

 

ইনোসেন্ট (Innocent) শব্দটি সাধারণ অর্থে নির্দোষ, সরল, শিশুসুলভ, সহজ-সরল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

তবে সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের মেলামেশার ক্ষেত্রে "ইনোসেন্ট" শব্দটি এক ধরনের ছদ্মবেশ হিসেবেও ব্যবহার হয়।

ইনোসেন্ট – কী ও কেন বলা হয়?
১. সংজ্ঞা:  
   কারো ব্যবহার, চেহারা বা আচরণ যখন অতিরিক্ত সরল, শান্ত, বা নিরীহ মনে হয়, তখন তাকে ইনোসেন্ট বলা হয়।

২. ব্যবহারের উদ্দেশ্য:  
   - কাউকে বিশ্বাসযোগ্য বা নিরীহ প্রমাণ করতে।  
   - ‘তেমন কিছু করে না’ বলে ভাব নিতে।  
   - সম্পর্ক গড়ার ফাঁদে সহজে ফেলতে।

এর রুপরেখা বা বৈশিষ্ট্য:
- মুখে সবসময় বিনয় ও মিষ্টি কথা।  
- দোষ করলে সেটিকে ভুল করে হয়েছে বলে এড়িয়ে যাওয়া।  
- সরলভাবে কাছে আসা, কিন্তু ধীরে ধীরে অনুভূতিপ্রবণ কথা বলা।  
- নিজেদের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন রাখতে চায়, কিন্তু উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়।

ক্ষতিকর দিকগুলো:
১. ভ্রান্ত ধারণা তৈরি:  
   ইনোসেন্ট চেহারা বা ব্যবহার দেখে অনেকে বিশ্বাস করে ফেলে, ফলে পরে ঠকতে হয়।

2. মানসিক দুর্বলতা:  
   অনেকেই আবেগে ডুবে গিয়ে নিজের সীমা হারিয়ে ফেলে।

3. হারাম সম্পর্কে জড়ানো:  
   অনেক ইনোসেন্ট সম্পর্ক পরে প্রেম, গভীর অনুভব, হারাম সম্পর্ক বা চরিত্রহানিতে রূপ নেয়।

4. শয়তানের কৌশল:  
   মিষ্টি ব্যবহার, কথায় কথায় সহানুভূতি, ‘তুমি আলাদা’ বলা—এসব ধাপ শয়তানের প্রবেশপথ।

পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়:
✅ পর্দা ও পরপুরুষ-নারীর সীমা মেনে চলা।

✅ কাউকে “ভাই/বোন” বলে অতিরিক্ত মিশে না যাওয়া।  
✅ মনের দুর্বলতা না দেখানো ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা।  
✅ সংশয়ে পড়লে আল্লাহর ভয় ও তাকওয়ার চর্চা।  
✅ সৎ বন্ধু বেছে নেয়া, যারা আপনাকে সতর্ক রাখবে।  
✅ একান্তে চ্যাট, ইনবক্স বা দেখা-সাক্ষাৎ এড়ানো।

উপসংহার:  
ইনোসেন্ট মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর ফাঁদ। সতর্ক থাকুন, হায়া বজায় রাখুন এবং ইসলামের সীমারেখা লঙ্ঘন করবেন না।

Follow us @Facebook
Visitor Info
100
as on 14 Oct, 2025 06:57 PM
©EduTech-SoftwarePlanet