আস-সালামু আলাইকুম। SQSF-কাউন্সেলিং সেন্টার এন্ড স্মার্ট লাইব্রেরী (আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার)।
কুকুর থেকে সাবধান মূলতঃ কুকুর হতে নয়, কুকুরের মতো মানুষ হতে সাবধান!
যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। তাই কুকুর হইতে সাবধান।
ইনোসেন্ট মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর ফাঁদ। সতর্ক থাকুন, হায়া বজায় রাখুন এবং ইসলামের সীমারেখা লঙ্ঘন করবেন না।
বিস্তারিত
১.ভাবী! আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয় মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!
এটা ভাবার কোনো কারণ নাই যে, যারা "ভাবী" টার প্রশংসা করছে, এরা "ফ্রি মাইন্ড" এ ইনোসেন্ট মন নিয়ে করছে!
নাহ, এরা অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই কুমতলব নিয়েই প্রশংসা করে!!
যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই। তাই কুকুর হইতে সাবধান।
ইনোসেন্ট কি ও কেন? এর রুপরেখা কেমন? এর ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি? এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়গুলো কি কি?
ইনোসেন্ট (Innocent) শব্দটি সাধারণ অর্থে নির্দোষ, সরল, শিশুসুলভ, সহজ-সরল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
তবে সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের মেলামেশার ক্ষেত্রে "ইনোসেন্ট" শব্দটি এক ধরনের ছদ্মবেশ হিসেবেও ব্যবহার হয়।
ইনোসেন্ট – কী ও কেন বলা হয়?
১. সংজ্ঞা:
কারো ব্যবহার, চেহারা বা আচরণ যখন অতিরিক্ত সরল, শান্ত, বা নিরীহ মনে হয়, তখন তাকে ইনোসেন্ট বলা হয়।
২. ব্যবহারের উদ্দেশ্য:
- কাউকে বিশ্বাসযোগ্য বা নিরীহ প্রমাণ করতে।
- ‘তেমন কিছু করে না’ বলে ভাব নিতে।
- সম্পর্ক গড়ার ফাঁদে সহজে ফেলতে।
এর রুপরেখা বা বৈশিষ্ট্য:
- মুখে সবসময় বিনয় ও মিষ্টি কথা।
- দোষ করলে সেটিকে ভুল করে হয়েছে বলে এড়িয়ে যাওয়া।
- সরলভাবে কাছে আসা, কিন্তু ধীরে ধীরে অনুভূতিপ্রবণ কথা বলা।
- নিজেদের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন রাখতে চায়, কিন্তু উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়।
ক্ষতিকর দিকগুলো:
১. ভ্রান্ত ধারণা তৈরি:
ইনোসেন্ট চেহারা বা ব্যবহার দেখে অনেকে বিশ্বাস করে ফেলে, ফলে পরে ঠকতে হয়।
2. মানসিক দুর্বলতা:
অনেকেই আবেগে ডুবে গিয়ে নিজের সীমা হারিয়ে ফেলে।
3. হারাম সম্পর্কে জড়ানো:
অনেক ইনোসেন্ট সম্পর্ক পরে প্রেম, গভীর অনুভব, হারাম সম্পর্ক বা চরিত্রহানিতে রূপ নেয়।
4. শয়তানের কৌশল:
মিষ্টি ব্যবহার, কথায় কথায় সহানুভূতি, ‘তুমি আলাদা’ বলা—এসব ধাপ শয়তানের প্রবেশপথ।
পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়:
✅ পর্দা ও পরপুরুষ-নারীর সীমা মেনে চলা।
✅ কাউকে “ভাই/বোন” বলে অতিরিক্ত মিশে না যাওয়া।
✅ মনের দুর্বলতা না দেখানো ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
✅ সংশয়ে পড়লে আল্লাহর ভয় ও তাকওয়ার চর্চা।
✅ সৎ বন্ধু বেছে নেয়া, যারা আপনাকে সতর্ক রাখবে।
✅ একান্তে চ্যাট, ইনবক্স বা দেখা-সাক্ষাৎ এড়ানো।
উপসংহার:
ইনোসেন্ট মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর ফাঁদ। সতর্ক থাকুন, হায়া বজায় রাখুন এবং ইসলামের সীমারেখা লঙ্ঘন করবেন না।