তারিখঃ ১৮/০৬/২০২৩ ইং

বরাবর,
মাননীয় মোঃ আনিসুজ্জামান সিকদার দা.বা. সমিপে,

পরিচালক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী।

ইসলামীক ফাউন্ডেশন। আগারগাঁও, ঢাকা।

বিষয়ঃ  

ক) বাংলাদেশের প্রতিটি ইমাম ও খতিব সাহেবানদেরকে অনলাইন ও অফলাইনে একটি SQSF-দ্বীনিয়াত সেন্টার   ও স্মার্ট লাইব্রেরী করে দেওয়া, যাতে করে তাদের দ্বীনি খেদমত এই প্রযুক্তির যুগে সমান তালে প্রতিযোগিতামূলক এগিয়ে নিতে পারেন। 

খ) পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্টসহ আদর্শবান মানুষ ও শিক্ষকের করণীয় ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা প্রসঙ্গে।

গ) মসজিদের খেদমতের পাশাপাশি অনলাইনে বিশ্বব্যাপী কুরআন পড়ানোর ব্যবস্থা করে তাদের আর্থিক সুবিধা বর্ধন করাসহ যাবতীয় স্মার্ট ব্যবস্থা করা প্রসঙ্গে।

 ঘ) বিঃদ্রঃ শিক্ষায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার প্রসঙ্গে এখানে দুটি বিষয় আছে
     ক) শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন, সংযোজন-বিয়োজন ইত্যাদি।
     খ) পাঠদান পদ্ধতিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি তথা ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার করে পাঠদান ইত্যাদি।

      আমাদের আলোচ্য বিষয় ২য়টি।

ঙ) বাংলাদেশের সকল কওমী মাদরাসায় ডিজিটাল ক্লাস ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা প্রদান করা প্রসঙ্গে।

চ) মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের ডিজিটাল ক্লাস ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা প্রদান করা ও আইসিটির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইমাম-খতিবদের যোগ্য করে তোলা প্রসঙ্গে।

ছ) বাংলাদেশের সকল মসজিদের খতিব সাহেবদের জুমার বয়ান সমূহ অনলাইনে আনা ও একই লিংকে জমা করণ প্রসঙ্গে।

পাশাপাশি বিষয় ভিত্তিক বয়ানের যাবতীয় বই ও সোর্স অনলাইনে স্মার্ট লাইব্রেরীতে প্রস্তত করে দেওয়া প্রসঙ্গে। সর্বোপরি ইসলামীক ফাউন্ডেশনের সকল খেদমতকে নতুন প্রজন্মের সকল শিক্ষার্থীর মাঝে স্মার্ট ভার্সনে তুলে ধরার অবিরাম চেষ্টা..।

ভূমিকাঃ

দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন এবং পাশাপাশি ইসলামীক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইসলামের যে খেদমত আঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাতে নূন্যতম সহযোগিতা প্রদান করার অবিরাম চেষ্টা.....।

• বর্তমানে সকল পেশায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক বছরের কাজ ছয় মাসে সম্পন্ন করা হচ্ছে। ৬ মাসের কাজ এক মাসে। এক মাসের কাজ এক দিনে। এক দিনের কাজ এক ঘন্টায়।
• হাজার হাজার মাইল দূরত্ব মাত্র কয়েক ঘন্টায় পাড়ি দিচ্ছে মানুষ।
• এই প্রযুক্তির যুগে কখনই কোন মানুষ অথবা প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির ব্যবহার করা ছাড়া উন্নয়ন করতে পারবে না, উন্নতি করা সম্ভব না।
• কিন্তু শিক্ষকতার পেশা কেমনই যেন হাজার হাজার বছর আগের মতনই পুরাতন রয়ে গেছে।
• ইমাম ও খতিবগণ এই সমাজ ব্যবস্থায় সবচেয়ে কম বেতন পেয়ে থাকেন, তাদের মসজিদের খেদমতের পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়মূলক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়ানো সময়ের  দাবী। কিন্তু তা অবশ্যয়ই মান সম্মত হতে হবে যা তার ইমাম ও শিক্ষতার পেশার সাথে সাংঘর্ষিক না হয়ে মানান সই হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে বলে মনি করি।

বাস্তবতাঃ

ক) যে দেশে ফজরের পর মকতবের পড়া দিয়েই শুরু হতো প্রতিটি মুসলমান সন্তানদের সারাদিনের পড়াশোনা। তা যে আজকের সমাজে সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ মুসলমান তাদের সন্তানকে কওমী মাদরাসা ও মকতব ভিত্তিক পড়াশোনাকে নিজ সন্তানদের জন্য উপযোগী মনে করছেন না। তারা তাদের সন্তানদের জন্য আধুনিক ও স্মাট প্রতিষ্ঠানকে উপযোগী মনে করছে। যা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সন্তানদেরকে মুসলিম বানিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। অথচ সামান্য কিছু পরিবর্তন-সংযোজনের মাধ্যমে কওমী মাদরাসা ভিত্তিক মকতব গুলো ও আধুনিক হয়ে উঠতে পারে এবং আমরা আমাদের মাদরাসার পাশের সকল স্তরের অভিভাবকের সন্তানদেরকে মকতব মূখী করতে পারি।

খ) আনন্দদায়ক ক্লাস পদ্ধতি না থাকার কারণে হাজারো অভিভাবকের স্বপ্ন যে, তার সন্তানকে কুরআনের হাফেজ ও আলেম বানাবে তা ধুলিতসাৎ হয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী অতিরিক্ত শাষন ও চাপের কারণে কুরআনের ইলম থেকে বঞ্চিত হয়ে স্কুল মূখী হয়ে যাচ্ছে বা পড়াশোনা একদম ছেড়ে দিচ্ছে।

গ) বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলছি যে, শতভাগ চেষ্টা করার পরও একজন শিক্ষককে বোঝানো যাচ্ছে না যে, তার পেশায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বা প্রযুক্তির উপর ভর করে নিজের শিক্ষকতার পেশা-পাঠদানকে অত্যাধুনিক আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব।

ঘ) বোঝানো সম্ভব হলেও তা শতভাগ চেষ্টার পরও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। পজিটিভভাবে না বোঝার দরুণ স্বরজমিনে ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারী শিক্ষক এবং আলেম-ওলামাগণ ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার কঠিন সমালোচনা ও বিরুধীতা করছে। অথচ তারা সকলেই স্মার্টফোনসহ জীবনের প্রায় ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত। যতসব অসুবিধা-অজুহাত মনে হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে এসে হাজির হয়েছে, ইত্যাদি।

আমার মতে ইমাম-খতিব ও শিক্ষকগণ প্রযুক্তি নির্ভর না হয়ে উঠার কারণ হলোঃ

এই বিষয়েটিকে কঠিন মনে করা বা আসলে কিছুটা কঠিন বটে। প্রযুক্তির মাধ্যমে ইসলাম বিরুধী কর্মকান্ডের প্রচার-প্রসার বেশি হওয়ার কারণে।
 

সমাধান
ক) আমরা যদি ইমাম-খতিব ও শিক্ষকদেরকে বুঝাতে পারি যে, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা একদম পানির মত সহজ। আমরা যেভাবে প্রতিদিন কষ্ট করা ছাড়াই ফেসবুক/ইউটিউব/ হোয়াটসঅ্যাপ /ইমো ইত্যাদি সহজে ব্যবহার করছি, ঠিক সেভাবেই ইসলামকে জনগণের কাছে অত্যন্ত সহজে উপাস্থাপন করতে পারবে।

খ) আসলে ফেসবুক-ইমো ইত্যাদি সহজ ব্যাপার না।
একটা টিম অনেক কষ্ট করে আমাদের সামনে রেডি খাবারের মত ব্যবহার উপযোগী করে দিয়েছে। তাই আমরা অনায়েসে সহজে ব্যবহার করছি।

গ) এতে করে বাংলাদের প্রতিটি মসজিদের মকবত এবং সকল অভিভাবকদের স্বপ্ন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে, ইনশাআল্লাহ। শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে, ইনশা আল্লাহ। মসজিদের আশেপাশে সকলের মাঝে একটা পজিটিভ সাড়া পড়বে, ইনশা আল্লাহ।
 

ঘ) এ ব্যাপারে আপনার সাথে
পরীক্ষা মূলক, গবেষণা মূলক, পরামর্শ মূলক আমার একটা প্রেজেন্টেশন-প্রস্তাব আছে, আপনি সুযোগ করে দিলে আমি তা স্ব বিস্তারে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

ঙ) আপনি কাজের পরিবেশ করে দিলে আমি আশাবাদী যে, আপনার অধিনে পরিচালিত ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে প্রতি দেড় মাসে যে ৭০০ থেকে ৮০০ ইমাম-খতিব সাহেবানসহ বিগত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সকলদেরকে সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে প্রস্তুত ও  সবাইকে আমরা উদ্ভুদ্ধ করতে পারবো, ইনশা আল্লাহ।

পাশাপাশি ডিজিটাল কন্টেন্ট এর প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাবে। শিক্ষকতার জন্য অন্যান্য জরুরী বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।
চ) এতে করে মাত্র ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তার এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আমরা একটা উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলতে পারবো, ইনশাআল্লাহ। সমাজের সকল সকল স্তরের শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করতে পারবো, ইনশা আল্লাহ।
 

আপনার পজিটিভ রেসপন্স আশা করছি। আমাকে কাজ করার সুযোগ দিলে ইমাম প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের থেকে বাছাই করে একটি টিম গঠন করে তাদের  নিয়ে কাজ করলে একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।

(সকলের কল্যাণের নিয়তে লিখলাম। যে কোন ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার বিষয় অনুরোধ করছি)

নিবেদক

মুফতি মোঃ আরিফুল ইসলাম।
★ সহকারী ধর্মীয় শিক্ষক,
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। মিরপুর, ঢাকা।
★প্রধান প্রশিক্ষক,
SQSF শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
★প্রধান এডমিন,

SQSF দ্বীনিয়াত সেন্টার ও স্মার্ট লাইব্রেরী। তাসহীহুল কুরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশনের একটি খেদমত।

সকল বিষয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্মার্ট সহায়িকা ও সমাধান।

শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করার অবিরাম চেষ্টা।

★ অতিথি প্রশিক্ষক,

ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী। ইসলামীক ফাউন্ডেশন।

★ অতিথি প্রশিক্ষক,

দ্বীনিয়াত বাংলাদেশ। পৃথিবীর প্রায় ৫০ দেশে বিস্তৃত।

★প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,
তাসহীহুল কুরআন (সহীহ কুরআন) শিক্ষা ফাউন্ডেশন। 

www.sqsf.org
★প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক,
আন-নাজাত হিফজুল কুরআন বালক বালিকা মাদরাসা ও এতিমখানা। 

www.annajatmadrasa.com

সংযুক্তি

১) এক কপি ছবি

২) ভোটার আইডির ফটোকপি

৩) জীবন বৃত্তান্ত

৪) টিন সার্টিফিকেট এর ফটোকপি।

৫) SQSF দ্বীনিয়াত সেন্টার ও স্মার্ট লাইব্রেরী প্রজেক্টের যাবতীয় ডকুমেন্ট এর ফটোকপি।

     তাসহীহুল কুরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশনের একটি খেদমত।

৬) সরকারী রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট এর কপি