As-Salamu Alaikum. Welcome to Our SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী এবং কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির) সফটওয়্যার_SQSF-Smart Library and Counseling Software. Reg No: S-13909 www.sqsf.org ফোনঃ 01764 444 731
সর্বশেষঃ |
SQSF-কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার) সেন্টার ও স্মার্ট লাইব্রেরী।’ *আমাদের জন্মের পর থেকে শরীরের সুস্থতার জন্য যেমন নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন, ঠিক তেমনিভাবে আমাদের সন্তানদের জন্য মনের ডাক্তার তথা কাউন্সিলর প্রয়োজন। আমাদের সন্তানদের যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন, ঠিক তেমনিভাবে একটি কাউন্সেলিং সেন্টার প্রয়োজন। যেখানে তারা মন খুলে সব কথা বলবে এবং প্রয়োজনীয় সকল সমাধান গ্রহণ করে একজন আদর্শবান সন্তান হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবে, ইনশাআল্লাহ। এই কথা আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবো ততই আমাদের সন্তানদের কল্যাণ হবে, ইনশাআল্লাহ। ★আপনার সন্তান শিক্ষার্থীদের নিয়ে পড়াশোনা ও আচরণে যে সকল সমস্যা ফেস করছেন, তা আমাদের সাথে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণভাবে প্রাইভেসি মেইনটেইন করে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ। ★সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কাউন্সেলিং এর বিকল্প কিছু নেই। প্রথম শ্রেনী থেকেই কাউন্সেলিং শুরু করা উচিৎ। আমরা আপনার সন্তান-শিক্ষার্থীদের মনের ডাক্তার। ★যে সকল সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন? ১. সন্তান-শিক্ষার্থী পড়াশোনায় অমনোযোগী। ★ঠিকানাঃ ২৬ পূর্ব শেওড়া পাড়া। হাতিলের পিছনের বিল্ডিং এর ৩য় তলায়। ذٰلِكَ الۡكِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚۖۛ فِیۡهِ ۚۛ هُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত। আল-কুরআন ‘শরীরের সুস্থতার পাশাপাশি মনের সুস্থতাও শান্তির অন্যতম চাবিকাঠি’ এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘SQSF-কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার) সেন্টার ও স্মার্ট লাইব্রেরী।’ এর পক্ষ থেকে আমাদের আগামী প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা যেন নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের উপর এবং পিতা মাতার বাধ্যগত সন্তান হিসেবে গড়ে উঠে এবং অবাধ্যতাসহ মাদক ও কিশোরগ্যাংয়ের সাথে যেন না জড়িয়ে পড়ে এই বিষয়ে গণসচেতনতামূলক কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম বাস্তবায়ণ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। উক্ত প্রোগ্রামে আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রীত। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণ দান করুন, আমিন। SQSF স্মার্ট লাইব্রেরী ০১.২.২০২৫ইং পর্যন্ত ৭ লক্ষ + বার ভিজিট করা হয়েছে, আল হামদুলিল্লাহ। আস-সালামু আলাইকুম। হে অতিথী আপনাকে ৬৫২টি থানার ৮৭১৯১টি গ্রামসহ বিশ্বব্যাপী নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ (তথা নিজের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা-সততা, ভালোবাসা ইত্যাদি ধারণ করা এবং জুলুম, অবিচার, দলীয়করণ, হিংসা, অহংকার ইত্যাদি পরিহার করা) শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ‘SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার) সেন্টার এবং স্মার্ট শিক্ষক-অভিভাবক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’ স্বাগতম। হিলফুল ফুযুল সংগঠনের স্মার্ট ভার্সন। স্কুল ও আলিয়া এবং কওমী সিলেবাসসহ ইসলামের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের অপূর্ব সমন্বয়ে আগামী প্রজন্মকে ধর্ম ও কর্মে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ তৈরীর মাধ্যমে সুস্থ ও নিরাপদ সমাজ এবং বৈষম্যহীন ও বেকারত্বমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলার অবিরাম চেষ্টা...আল্লাহ সহায় হোন, আমিন। ভিডিও লেকচার দেখতে ক্লিক করুন।
যে শিক্ষা জীবনের জড়ত্ব ঘুচিয়ে আত্মাকে মার্জিত করে না তা প্রকৃত শিক্ষা নয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য আত্মশক্তির উদ্বোধন। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় তা সম্ভব হচ্ছে না-বিশিষ্ট কবি মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। সন্তানকে খেলনা না দিলে এক ঘন্টা কাঁদবে, কিন্তু ধর্মীয় জ্ঞান ও নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা না দিলে সারা জীবন কাঁদবে। আর কিয়ামতের দিনেও কাঁদবে, আপনিও কাঁদবেন। আল্লাহ আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণ দান করুন, আমিন। আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে মানুষের হেদায়েতের জন্য নবী-রাসূল ও কিতাব প্রেরণ করেছেন, যারা উক্ত রাসূল ও কিতাবের অনুসরণ করেছে তাদেরকে আল্লাহ সফল করেছেন। আর যারা অনুসরণ করেন নাই, তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। হে সন্তান-শিক্ষার্থী! যদি তোমার এক হাতে কিতাব ও অন্য হাতে শিক্ষক থাকে তবে কেউ তোমাকে পরাজিত করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ্। আগে ভালো মানুষ হতে হবে। আমি যদি শত্রুর ভালো কাজের প্রশংসা ও বন্ধুর মন্দ কাজের গঠন মূলক সমালোচনা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমি এখনো ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। নৈতিক শিক্ষার কাউন্সেলিং ও সৎ কাজ ছাড়া জীবনের সফলতার কোন সমাধান নেই। শিক্ষক ও অভিভাবকের জন্য SQSF স্মার্ট সহায়িকা। দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
তথ্যপ্রযুক্তিতে আসক্তি নয়, হোক ইতিবাচক ব্যবহার «أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ، الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُـوْنَ، لَـهُمُ الْبُشْرَى فِيْ الْـحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِيْ الْآخِرَةِ، لَا تَبْدِيْلَ لِكَلِمَاتِ اللهِ، ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ» জেনে রেখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্’র ওলীদের কোন ভয় থাকবে না। না থাকবে তাঁদের কোন চিন্তা ও আশঙ্কা। তাঁরা হচ্ছেন খাঁটি ঈমানদার এবং সত্যিকার আল্লাহ্ভীরু। তাঁদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুসংবাদ দুনিয়া এবং আখিরাতেও। আল্লাহ্ তা‘আলার কথায় কোন হেরফের নেই। এটাই হচ্ছে চূড়ান্ত সফলতা’। (ইউনুস : ৬২-৬৪) উক্ত স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং সফটওয়্যারে কি কি বিষয় আছে? ক) আদর্শ সন্তান ও শিক্ষার্থী তৈরী করা বিষয়ক সকল কন্টেন্ট। খ) বাংলাদেশ সরকারের অধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা স্কুল, আলিয়া ও কওমী মাদরাসাসহ বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন এর একাডেমিক পড়াশোনা। গ) অবাধ্য ও নেশাগ্রস্ত এবং কিশোরগ্যাং সন্তান-শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং সংক্রান্ত সকল বিষয়। ঘ) সুনাগরিক ও আদর্শবান মানুষ হওয়ার সকল বিষয়। ঙ) স্মার্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্মার্ট অভিভাবক-অভিভাবিকা, স্মার্ট ইমাম-খতিব সাহেবানদের প্রশিক্ষণের সকল বিষয়। চ) বৈষম্যহীন ও বেকারত্বমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করা যাবে যেভাবে? উক্ত বিষয়াবলী। SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং (আত্নশুদ্ধির) সেন্টার কি ও কেন?
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, “কোন ভাল কাজকে তুচ্ছ ভেবো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে সাক্ষাৎ করার কাজ হয়।” (মুসলিম ২৬২৬) তুমি কখনো মনে করো না যে, জালিমরা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ গাফিল। তবে তিনি তাদেরকে সেদিন পর্যন্ত অবকাশ দেন, যেদিন চক্ষু হবে স্থির। (সূরা ইবরাহীম, আয়াত ৪২) আমাদের মনে রাখা দরকার, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়ন এমন এক অপরাধ যা সাধারণত আল্লাহ মাফ করেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত ওই মজলুম ব্যক্তি (যার প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে) জালিমকে (অত্যাচারী ব্যক্তিকে) মাফ না করেন। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর তোমরা জালেমদের প্রতি ঝুঁকে পড়বে না, জালেমদের সহযোগী হবে না, তাহলে আগুন (জাহান্নামের) তোমাদেরও স্পর্শ করবে (সূরা হুদ, আয়াত : ১১৩)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহতায়ালা জালিমকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন পাকড়াও করেন তখন তাকে আর রেহাই দেন না। অতঃপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেন, তোমার প্রভুর পাকড়াও এ রকমই হয়ে থাকে, যখন তিনি জুলুমরত জনপদগুলোকে পাকড়াও করেন। তার পাকড়াও অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, অপ্রতিরোধ্য। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)। *প্রযুক্তি আগুনের মত। হয়ত আপনাকে সেবা দিবে নতুবা ধ্বংস করবে। সচেতন ভাবে সেবা নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সফলতা কখনো একদিনে আসে না। দিনের পর দিন শ্রম দিতে হয়। আর ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়। সাফল্যের পিছনে ছুটলে তুমি কোনদিন ও সফলতা পাবে না, কর্মের পিছনে ছুটো সাফল্য এমনিতেই তোমার কাছে এসে ধরা দেবে ইনশাআল্লাহ। শত শত ইমাম ও খতিব সাহেবানগণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন SQSF স্মার্ট শিক্ষক-অভিভাবক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ইমাম-খতিব ও SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী এবং কাউন্সেলিং সফটওয়্যার। ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বহির্বিশ্বে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশের বাঙ্গালী প্রবাসী বসবাস করে, পাশাপাশি ভারতেরও বাঙ্গালী প্রবাসী ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে। তারাও কুরআন শিখে। পাকিস্তান ভারত ও মিশরের আলেমসমাজ তাদেরকে পড়ায়। বাঙ্গালী প্রবাসীগণ চায় তারা ও তাদের ছেলে মেয়েকে বাঙ্গালী আলেমগণ পড়াক। ঠিক এই জায়গায় ‘SQSF-স্মার্ট শিক্ষক (ইমাম-খতিব) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ কাজ করছে, আলহামদুলিল্লাহ। এতে করে দেশে বিদেশি মুদ্রা আসায় দেশের লাভ হবে। অন্যদিকে ইমাম-খতিব সাহেবানগণ মসজিদ কর্তৃক সামান্য বেতনের পাশাপাশি অতিরিক্ত ইনকাম হওয়ায় তাদের পারিবারিক জীবন পরিচালনায় অনেকটা সহজ হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা খুব সহজে ইমাম-খতিবদের কাছ আজীবন আন্তরিক দোয়া পেয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। আমাদের বাঙ্গালী আলেমসমাজের মাধ্যমে খুব সহজে বহির্বিশ্বে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়বে, ইনশাআল্লাহ। SQSF স্মার্ট প্রশিক্ষণ সম্পর্কে ৬৪ জেলা থেকে শতাধিক আলেমের অভিমত
|
এলাকার কর্মজীবি শিক্ষার্থীরা সমাজ সেবায় ভূমিকা রাখছে, আলহামদুলিল্লাহ।
SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং-আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার এর বাহির ও ভিতরের অংশের বিভিন্ন চিত্র
|
||||||||||||||||
![]() |
বর্তমান সমাজের বাস্তবতা এবং ‘SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং-আত্নশুদ্ধির সফটওয়্যার’ কেন প্রয়োজন?
|
কি কি বিষয়ে SQSF প্রশিক্ষণ প্রদান করছে?
১. নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ তৈরীর স্মার্ট কাউন্সেলিং পদ্ধতি বিষয়ক। এক সপ্তাহ ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
২. স্মার্ট শিক্ষক ও মুহতামীম এবং অভিভাবক বিষয়ক বিষয়াবলী। এক সপ্তাহ ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
৩. কর্মসংস্থান ও কর্মদক্ষতামূলক প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি বিষয়ক বিষয়াবলী। এক সপ্তাহ ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
৪. আদর্শ ও নৈতিক সমাজ ও গ্রাম বাস্তবায়ণ প্রকল্প বিষয়ক বিষয়াবলী। এক সপ্তাহ ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
সুইডেন থেকে ইসমাঈল বাংলা শিখছে
ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে আমাদেরকে ৭৮১৯১ টি গ্রামে ব্যবসায়ীক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে, ইনশাআল্লাহ।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি বেশি সওয়াবের কাজ। কর্মসংস্থান বাই ‘ফ্যামিলি শপ লিমিটেড-Family Shop ltd’ একটি স্মার্ট ব্যবসায়ীক প্ল্যাটফর্মSQSF এর উদ্যোক্তা তৈরীর ভিশন ও মিশনের ধারাবাহিকতায় আলেম ওলামা ও দ্বীনি ভাই-বোন এবং এলাকার বেকারদের জন্য খুব সহজে কর্মের জীবন সাজানোর স্মার্ট সমাধান। পাশাপাশি কিশোরগ্যাংসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে যুক্তদেরকে আলোর পথে ফিরিয়ে এনে কর্মদক্ষতা মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে কর্মসংস্থানের স্মার্ট সমাধানের ব্যবস্থা। ব্যবস্থাপনায়-ফ্যামিলি শপ লিমিটেড.কম।
আপনার আশপাশে কি চাঁদাবাজি ও জোর জবরদস্তি করে কোনো ক্ষতি সাধন করছে কেউ? পুরো বিস্তারিত প্রমান সহকারে আমাদেরকে ইমেইল করুন এবং পেজের ইনবক্সে পাঠান। আমরা প্রকাশ করবো জনগণের সামনে। ইমেইল এড্রেসঃ newsfacethepeople@gmail.com
নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষার আদর্শ প্রতিষ্ঠান। SQSF স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং-আত্নশুদ্ধির সেন্টার। হিলফুল ফুযুল সংঘটনের স্মার্ট ভার্সন। Sqsf.org
★আমরা দীর্ঘ গবেষণায় সমাজের সকল সমস্যার মূলে মোট তিনটি কারণ খুঁজে পেয়েছি, উক্ত সমস্যাগুলোর সমাধানের লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্দ্যোগ।
১. কাউন্সেলিং হীনতা তথা শুদ্ধ বুঝ ব্যবস্থা গঠন না হওয়া। অহংকার, হিংসা ইত্যাদি।
২. বেকারত্ব। ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট। খাবারে ভেজাল। অতিরিক্ত লোভ-লালসা।
৩. বিবাহ - শাদি কঠিন, জেনা ব্যভিচার সহজ, বিবাহ বহির্ভূত প্রেম-পরকিয়া, ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলোর স্মার্ট সমাধান ই হলো SQSF আলহামদুলিল্লাহ। আসুন সবাই মিলে এই পরিবর্তনে সহায়তা করি।
★আমরা চার শ্রেণীর লোকদের মধ্যে আলাদা করে কাজ করছি। ★একজনকে চার প্রেক্ষিতে কাজ করা জরুরী নয়, তবে একজন চাইলে সকল সেক্টরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সামাজিক খেদমত আঞ্জাম দিতে পারবে, ইনশাআল্লাহ।
★আমাদেরকে আগে ভালো মানুষ হতে হবে। আমি যদি শত্রুর ভালো কাজের প্রশংসা ও বন্ধুর মন্দ কাজের গঠন মূলক সমালোচনা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমি এখনো ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি।
★আগামী প্রজন্মের সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য এই চারটি বিষয়ে একই সাথে কাজ করা জরুরী মনে করি। প্রতিটি বিষয় একে অপরের সাথে যুক্ত।
১. আদর্শ সন্তান-শিক্ষার্থীদের জন্য -SQSF স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং-আত্নশুদ্ধির সেন্টার।
গ্রুপ লিংক
২. আদর্শ শিক্ষক-অভিভাভকের অন্য- SQSF স্মার্ট শিক্ষক-অভিভাবক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
গ্রুপ লিংক
৩. বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য- SQSF এর কর্মদক্ষতা মূলক প্রশিক্ষণ এবং ফ্যামিলি শপ লিমিটেড.কম ব্যবসায়ীক প্ল্যাটফর্ম।
গ্রুপ লিংক
৪.নৈতিক মূল্যবোধের পরিবার গঠন করতে সুস্থ আগামী প্রজন্মের সন্তান ও অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করতে-
SQSF পাত্র-পাত্রীদের বিবাহের তথ্য সেন্টার। বিবাহ দ্বীনের অর্ধেক।
★বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
sqsf.org
Familyshopltd.com
বিস্তারিত ভিডিও আলোচনা শুনতে
https://youtu.be/Qu2_fHKSjXk?t=2&feature=shared
★ মোহনা টিভিতে প্রতিবেদন, অবাধ্য, নেশাগ্রস্ত, কিশোর গ্যাং এ যুক্ত সন্তান-শিক্ষার্থীদেরকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে স্মার্ট লাইব্রেরী
https://youtu.be/sTuEybrRLio
★ চ্যানেল আই তে প্রতিবেদন, সামাজিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেবে স্মার্ট লাইব্রেরী।
https://www.youtube.com/watch?v=Sr8q8Lzj_Xc
★আপনি জান, মাল ও সময় ব্যয় করে এই মহৎ খেদমত আঞ্জাম দিয়ে সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ
★প্রতিদিন কম্পক্ষে ২ কাপ চায়ের মূল্য ২০/-, মাসে মাত্র ৬০০/- দিয়ে যে একটি খেদমতে শরিক হতে বা একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সমাজে অবদান রাখতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।
★বিস্তারিত আলোচনা করতে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করতে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন
#01764444731
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিঃ কর্মসংস্থান ও সমাজসেবা মূলক প্রোগ্রাম-২০২৫ কতজন আবশ্যকঃ ৬৫২ টি থানার ৮৭১৯১টি গ্রামে অন্তত একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা আবশ্যক। পেশার ধরণঃ উকিল, ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তারদের চেম্বারদের মত চেম্বার প্রতিষ্ঠা করে সমাজে অবদান রাখা। ইনকামের ধরণঃ কম-বেশি তাদের মত ইনকামের ব্যবস্থা, পাশাপাশি সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। উক্ত চেম্বার প্রতিষ্ঠা করতে যা যা করণীয়ঃ ক) কম্পক্ষে ১ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন কম্পক্ষে ১ ঘন্টা সময় দিয়ে অনলাইন-অফলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। খ) অথবা একমাস ব্যাপী অফলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। গ) অথবা নিয়মিত শুক্রবার বা শনিবার একদিন নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে হবে। কাজের ধরণঃ আদর্শ নৈতিক সন্তান তৈরি ও অবাধ্য, নেশাগ্রস্ত, কিশোর গ্যাং সহ বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত তাদেরকে কাউন্সেলিং করে আলোর পথে ফিরিয়ে আনার স্মার্ট প্রচেষ্টা। ব্যবসায়ীক প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে কর্মসনংস্থান মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে যুবক-যবতীদেরকে ৮৭১৯১টি গ্রামে কর্মসন্থানের ব্যবস্থা করার অবিরাম চেষ্টা। কাদের জন্য প্রযোজ্যঃ ইমাম, খতিব, মুহতামিম, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য প্রযোজ্য। বিস্তারিত জানতে বায়োডাটা নিচের হোয়াটসঅ্যাপে সেন্ড করুন। আল্লাহ সহায় হোন, আমিন। ওমা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ। বাস্তবায়ণেঃ দেশ ও জাতির ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি বর্গ। |
SQSF এর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের ও সমাজের দায়িত্বশীলদের প্রতি খোলা চিঠি প্রদান।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়/মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়/রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল মহোদয়/মন্ত্রী মহোদয় /প্রতিমন্ত্রী মহোদয়/এমপি মহোদয়/প্রশাসনের দায়িত্বশীল মহোদয়/কমিশনার মহোদয়/চেয়ারম্যান মহোদয়/থানার ওসি মহোদয়/বাড়ীর মালিক সভাপতি মহোদয়/ইমাম ও খতিব মহোদয়/সংবাদ কর্মী মহোদয় /সামাজিক সংগঠণের দায়িত্বশীল মহোদয় / স্কুল ও কলেজের প্রিন্সিপাল মহোদয় /কওমী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মহোদয়/ কওমী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মহোদয়/অভিভাবক-অভিভাবিকা প্রতিনিধি/বিশিষ্ট দানবীর মহোদয়/সমাজ সেবক মহোদয়।
*মাননীয় ড.মুহাম্মদ ইউনূস সমীপে, প্রধান উপদেষ্টা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। *মাননীয় ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সমীপে, উপদেষ্টা, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। *মাননীয় জেনারেল ওয়াকার উজজামান সমিপে *মাননীয় হযরত মাওলানা মুফতি খলিল আহমাদ কাসেমী দা.বা. সমিপে *মাননীয় আল্লামা মাহমুদুল হাসান দা.বা. সমীপে *রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীলদের প্রতি খোলা চিঠি। *মাননীয় নাহিদ ইসলাম সমীপে, উপদেষ্টা, আইসিটি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। *ড. মহাঃ বশিরুল আলম মহাপরিচালক ( অতিরিক্ত সচিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন *মাননীয় মাওলানা মুহাম্মাদ সালমান দা.বা. সমিপে।
প্রাথমিক লক্ষ্য ও কার্যক্রমঃ
বাংলাদেশের ৮ বিভাগের ৬৫২ টি থানার প্রতিটি থানায় ১০০ জন করে ইমাম-খতিব/শিক্ষক-শিক্ষিকা/অভিভাবক-অভিভাবিকাদেরকে স্মার্ট প্রশিক্ষণ প্রদান করে কম্পক্ষে ৬৫,২০০ টি “SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং সেন্টার” অফলাইন ও অনলাইন ভার্সনে প্রতিষ্ঠা করা। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তরের মোট ৫৪টি ওয়ার্ডে, ঢাকা দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ডে এবং ৪৯৫টি উপজেলায় ও ৪৫৭৮টি ইউনিয়নে, পাশাপাশি ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ১২৫টি মসজিদের পাশে একটি করে “SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিং সেন্টার” প্রতিষ্ঠা করা।
আজই আপনি প্রশিক্ষণ নিয়ে বা অর্থ দিয়ে আপনার সমাজে একটি SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী চালু করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।
সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেবে ‘স্মার্ট লাইব্রেরী’ | Smart Library | SQSF | চ্যানেল আই Positive Think Education
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ভয়ে পড়াশোনা না করে, নিজ আগ্রহে পড়াশোনা করবে, তার প্রতি উৎসাহ দেওয়ার জন্যই আমাদের এই উদ্দ্যোগ। ‘SQSF-স্মার্ট লাইব্রেরী ও কাউন্সেলিংসফটওয়্যার’ শিক্ষার্থীদের নিজের জীবনকে সুন্দর করা ও পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া সহ আদর্শবান হওয়ার জন্য স্মার্টভাবে কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা করেছে।
আজই আপনার সন্তানকে আমাদের কাউন্সেলিং সেন্টারের সাথে যুক্ত করে দিতে পারেন।
নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ কি?
নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ হল সেই নীতি, ধারণা এবং আচরণ যা ব্যক্তি বা সমাজে সঠিক, ন্যায়সঙ্গত এবং উপকারী আচরণের প্রতি প্রবণতা সৃষ্টি করে। এগুলি সমাজের মানুষের মাঝে শান্তি, সহযোগিতা, শ্রদ্ধা, এবং ভালোবাসার পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। নৈতিক মূল্যবোধ সাধারণত ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ বিশ্বাস ও মূল্যায়নের উপর নির্ভর করে, যা তাকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে। সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেই ধারণা বা আদর্শ যা একটি সমাজের মধ্যে প্রচলিত এবং যা মানুষের সম্পর্ক, আচরণ এবং দায়িত্বের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করে।
নৈতিক মূল্যবোধ (Ethical Values)
নৈতিক মূল্যবোধের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের আচার-আচরণের প্রতি ন্যায়, সততা, সতর্কতা এবং অন্যদের প্রতি দায়িত্বশীলতা তৈরি করা। এটি মানুষের মধ্যে সঠিক বা ভুলের ধারণা, মানবিকতা, এবং আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে। নৈতিক মূল্যবোধের কিছু উদাহরণ:
1. সততা (Honesty):
- সত্য বলার এবং মিথ্যা না বলার নীতি।
- মানুষের মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তোলা।
2. ন্যায়পরায়ণতা (Justice):
- সবার প্রতি সমান অধিকার এবং শ্রদ্ধা প্রদান।
- অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং সঠিক বিচার প্রদান।
3. দয়া ও সহানুভূতি (Compassion and Empathy):
- অন্যদের দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করা এবং তাদের সাহায্য করার ইচ্ছা।
- মানুষের প্রতি সহানুভূতি এবং দয়া দেখানো।
4. আত্মনিয়ন্ত্রণ (Self-control):
- নিজের আবেগ ও প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
- অন্যদের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শালীনতা বজায় রাখা।
5. দায়িত্বশীলতা (Responsibility):
- নিজের কর্তব্য এবং দায়বদ্ধতা পালন করা।
- সমাজ ও পরিবারের প্রতি দায়িত্ব নেওয়া।
6. আন্তরিকতা (Integrity):
- নৈতিকতার প্রতি অবিচল থাকা এবং অন্যদের সঙ্গে সৎ আচরণ করা।
- নিজের আদর্শে অবিচল থাকার মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা।
7. স্বচ্ছতা (Transparency):
- কোনো কাজ করার সময় সঠিক তথ্য প্রদান এবং ধোঁকাবাজি না করা।
8. ক্ষমা (Forgiveness):
- অন্যের ভুলের জন্য ক্ষমা করা এবং রাগ-ক্ষোভ থেকে মুক্ত থাকা।
সামাজিক মূল্যবোধ (Social Values)
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেই আদর্শ বা ধারণা যা একটি সমাজের সংস্কৃতি, ধর্ম, এবং ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত, এবং যা মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সম্মান এবং শৃঙ্খলা গড়ে তোলে। সামাজিক মূল্যবোধ সমাজের ভালো ও সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয়। এর কিছু উদাহরণ:
1. অন্তর্ভুক্তি (Inclusion):
- সমাজের সকল সদস্যের প্রতি সমান অধিকার এবং সুযোগ প্রদান।
- কোনো গোষ্ঠী বা মানুষকে বাদ না দিয়ে সবাইকে সমানভাবে গ্রহণ করা।
2. অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা (Respect for Others):
- সকল মানুষের প্রতি সম্মান দেখানো, তাদের মতামত ও অধিকারকে সম্মান করা।
- বৈষম্য এবং বিদ্বেষ পরিহার করা।
3. বিশ্বাসযোগ্যতা (Trustworthiness):
- প্রতিশ্রুতি পালন করা এবং অন্যদের সাথে বিশ্বাসভিত্তিক সম্পর্ক গড়া।
- সমাজে সৎ এবং নির্ভরযোগ্য সদস্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করা।
4. সহযোগিতা (Cooperation):
- একে অপরের সাহায্য করা এবং দলগতভাবে কাজ করা।
- সমাজের উন্নতির জন্য একসাথে কাজ করা।
5. পরিবারের মূল্য (Value of Family):
- পরিবারকে সঠিকভাবে সমর্থন ও রক্ষা করা।
- পরিবারের সদস্যদের প্রতি দায়িত্বশীলতা এবং তাদের সুখ-দুঃখে সহানুভূতি দেখানো।
6. বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা (Respect for Justice):
- সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।
- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার রক্ষা করা।
7. পরিবেশ রক্ষা (Environmental Responsibility):
- পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা এবং প্রকৃতির সুরক্ষা করা।
- পরিবেশের অবক্ষয় রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
8. শ্রদ্ধাশীলতা (Courtesy):
- অন্যদের প্রতি বিনম্র ও ভদ্র আচরণ করা।
- সামাজিক প্রথা ও নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা।
9. সামাজিক ন্যায় (Social Justice):
- সকল মানুষের জন্য সমান সুযোগ এবং অধিকার নিশ্চিত করা।
- দরিদ্র, অসহায়, ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সমর্থন প্রদান করা।
10. সামাজিক দায়িত্ব (Social Responsibility):
- সমাজের কল্যাণে অবদান রাখা, যেমন: দান-ধন, স্বেচ্ছাসেবী কাজ, বা সামাজিক সেবা।
- সমাজের উন্নতির জন্য ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা।
নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের গুরুত্ব
1. সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা: নৈতিক এবং সামাজিক মূল্যবোধের মাধ্যমে সমাজে শান্তি, সম্মান ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষ একে অপরকে সম্মান করতে শিখে এবং সমাজে সংঘর্ষ কমে আসে।
2. মানবিক সম্পর্কের উন্নয়ন: এই মূল্যবোধ মানুষের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে। অন্যের প্রতি সহানুভূতি, সহযোগিতা এবং শ্রদ্ধা মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের উন্নয়ন করে।
3. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ: সামাজিক মূল্যবোধ সমাজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি সমাজের ঐক্য এবং সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
4. আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা: নৈতিক মূল্যবোধ মানুষকে সৎ, দায়িত্বশীল এবং শ্রদ্ধাশীল করে তোলে, যার ফলে তার আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
5. মানবাধিকার ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা: সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের মৌলিক অধিকার, সামাজিক ন্যায় এবং সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।
6. সামাজিক উন্নতি: নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের মধ্যে মানবিকতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে, যা সমাজের উন্নতি এবং মানবতার জন্য উপকারী।
উপসংহার
নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ মানুষের আচার-আচরণ, চিন্তা-ভাবনা এবং সমাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করে। এগুলি আমাদের জীবনকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং মানবিক করে তোলে। এগুলি শুধু ব্যক্তিগত জীবন নয়, বরং সমাজের সমগ্র কাঠামোর প্রতি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, যা মানুষের মধ্যে শান্তি, সমঝোতা, এবং উন্নতি অর্জনে সহায়তা করে।
আদর্শ গ্রাম কি ও কেন? কিভাবে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে?
আদর্শ গ্রাম কি?
আদর্শ গ্রাম হল একটি গ্রাম যেখানে সকল দিক থেকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি সাধিত হয়। এটি একটি স্ব-সামর্থিত এবং উন্নত গ্রাম যা তার বাসিন্দাদের জন্য একটি সুন্দর, সুস্থ, শান্তিপূর্ণ, এবং টেকসই পরিবেশ প্রদান করে। আদর্শ গ্রামে সাধারণত নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে:
1. শিক্ষা: সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা।
2. স্বাস্থ্যসেবা: গ্রামবাসীদের জন্য সহজলভ্য এবং মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।
3. অর্থনৈতিক উন্নয়ন: কৃষি, ছোট শিল্প, এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গ্রামের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করা।
4. পরিবেশ সুরক্ষা: পরিবেশের সুরক্ষা এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
5. সামাজিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা: সামাজিক সম্পর্ক, ন্যায়বিচার এবং নিরাপত্তা বজায় রাখা।
6. প্রযুক্তির ব্যবহার: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামীণ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা।
আদর্শ গ্রাম কেন প্রয়োজন?
আদর্শ গ্রাম গঠনের জন্য বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু প্রধান কারণ হলো:
1. গ্রামীণ উন্নয়ন: গ্রামীণ অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য আদর্শ গ্রাম গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শহরগুলোর সাথে গ্রামাঞ্চলের বৈষম্য দূর করতে সাহায্য করবে।
2. সামাজিক ন্যায় ও সমতা: আদর্শ গ্রামে সবার জন্য সমান সুযোগ এবং অধিকার নিশ্চিত করা হয়, যা সমাজে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।
3. প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা: আদর্শ গ্রামগুলো পরিবেশবান্ধব হতে পারে, যা প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
4. অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা: আদর্শ গ্রামে কৃষি, শিল্প এবং ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নত হলে, গ্রামবাসীরা নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
5. স্বাস্থ্য ও জীবনমানের উন্নয়ন: মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মাধ্যমে গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
6. প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।
আদর্শ গ্রাম বাস্তবায়ন কিভাবে করা যেতে পারে?
আদর্শ গ্রাম গঠনের জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা এবং কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ তুলে ধরা হলো:
১. শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন:
- স্কুল স্থাপন এবং উন্নয়ন: আদর্শ গ্রামে সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলোতে আধুনিক পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য শিক্ষা: অল্প বয়সে স্কুলে না গিয়ে থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য শিক্ষা কর্মসূচি চালু করা, যাতে তারা সুশিক্ষিত হতে পারে।
২. স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষা:
- স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন: গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি ও সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা।
- স্বাস্থ্য সচেতনতা: গ্রামে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, যেমন: স্যানিটেশন, পুষ্টি, টিকাদান, ওষুধের ব্যবহার ইত্যাদি।
- সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিকল্পনা: গ্রামের মানুষদের জন্য সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
৩. কৃষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
- কৃষির আধুনিকীকরণ: কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন: সেচ ব্যবস্থা, উন্নত বীজ, রাসায়নিক সারের সঠিক ব্যবহার, এবং যান্ত্রিকীকরণ প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
- স্বনির্ভর উদ্যোগ: গ্রামের মানুষদের ছোট ব্যবসা, কারিগরি দক্ষতা, এবং উদ্যোক্তা তৈরি করতে সহায়তা করা। যেমন: হস্তশিল্প, মৎস্য চাষ, গবাদি পশু পালন, এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসা।
- অর্থনৈতিক প্রশিক্ষণ: গ্রামবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে তারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারে এবং নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারে।
৪. পরিবেশ সুরক্ষা:
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: গ্রামগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকরী পদ্ধতি চালু করা, যেমন: আবর্জনা সংগ্রহ, পুনঃব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বর্জ্য নিষ্পত্তি।
- বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়ন: গ্রামে গাছপালা ও বৃক্ষরোপণ বাড়ানো, যা পরিবেশের সুরক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সহায়ক হবে।
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গ্রামে সেচ ব্যবস্থা, জলাধার নির্মাণ, এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির প্রচলন।
৫. ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন:
- পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়ন: গ্রামাঞ্চলের সড়ক, সেতু, এবং অন্যান্য পরিবহন সুবিধা উন্নত করা, যাতে শহরের সাথে যোগাযোগ সহজ হয়।
- বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ: গ্রামের প্রতিটি বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যুৎ এবং পরিষ্কার পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা।
- ডিজিটাল সংযোগ: গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল যোগাযোগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, যাতে তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে।
৬. সামাজিক সচেতনতা এবং অংশগ্রহণ:
- সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: গ্রামের মানুষের মধ্যে সামাজিক সমস্যা, যেমন: যৌন শিক্ষা, নারীর অধিকার, শিশুশ্রম, এবং নানান সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
- নারীর ক্ষমতায়ন: নারীদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। নারীদের উদ্যোক্তা এবং নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা।
- কমিউনিটি সেন্টার: সমাজে একত্রিত হওয়ার এবং বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা আলোচনা করার জন্য কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করা।
৭. নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা:
- গ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা: নিরাপদ গ্রাম তৈরি করতে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন এবং কমিউনিটি নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করা।
- আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা: সামাজিক শান্তি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে গ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা।
৮. টেকসই উন্নয়ন:
- টেকসই কৃষি ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি: গ্রামে টেকসই কৃষি পদ্ধতি এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
- গ্রামীণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষণ: গ্রামাঞ্চলে উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং তাদের ব্যবসা পরিচালনায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
---
উপসংহার:
আদর্শ গ্রাম গঠন একটি ব্যাপক এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, তবে এটি সমাজের উন্নতি এবং সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি আদর্শ গ্রাম গঠনে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। এর বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষ, বিশেষ করে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
আপনার আশপাশে কি চাঁদাবাজি ও জোর জবরদস্তি করে কোনো ক্ষতি সাধন করছে কেউ? পুরো বিস্তারিত প্রমান সহকারে আমাদেরকে ইমেইল করুন এবং পেজের ইনবক্সে পাঠান। আমরা প্রকাশ করবো জনগণের সামনে। ইমেইল এড্রেসঃ newsfacethepeople@gmail.com